কারখানা কর্তৃপক্ষ দৈনিক যে মজুরি দেন, তার পুরোটা তাঁদের হাতে পৌঁছয় নাএই অভিযোগে কারখানায় বিক্ষোভ দেখালেন পঁচিশ জন ঠিকা শ্রমিক। তাঁদের অভিযোগ, যাঁর মাধ্যমে তাঁরা কারখানায় নিযুক্ত হয়েছেন সেই ঠিকাদার তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা মজুরির একটা অংশ কেটে নিচ্ছেন। বিষয়টি তাঁরা শ্রম দফতরেও জানিয়েছেন। ওই নেতা অবশ্য অভিযোগ মানেননি।
কাঁকসার তেলিপাড়ার ওই কারখানায় পুরনো পাইপ ও সেতু ঢালাইয়ের যন্ত্রপাতি মেরামত ও রং করার কাজ হয়। সেখানে ১৫ জন স্থায়ী এবং ২৫ জন ঠিকা শ্রমিক রয়েছেন। কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমনাথ গঙ্গোপাধ্যায় নামে ওই ঠিকাদার ২৫ জন অস্থায়ী শ্রমিক জোগাড় করে দিয়েছিলেন। ওই শ্রমিকদের বেতন তাঁর কাছেই জমা পড়ে। তিনি তা শ্রমিকদের মধ্যে বণ্টন করে দেন।
ওই শ্রমিকদের অভিযোগ, কারখানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের দৈনিক ২০৭ টাকা করে মজুরি দেন। কিন্তু সোমনাথবাবু তা থেকে ২৭ টাকা করে কেটে নেন। তৃণমূলের স্থানীয় অফিসে বসেই তিনি বাকি টাকা বণ্টন করেন বলে ওই শ্রমিকদের দাবি। তাঁদের আরও অভিযোগ, এ নিয়ে বারবার অভিযোগ জানালেও সোমনাথবাবু তাতে কর্ণপাত করেননি। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে কাজ না করে তৃণমূলের পতাকা নিয়েই কারখানার গেটে বিক্ষোভ শুরু করেন ওই শ্রমিকেরা। তার জেরে কারখানায় ঢুকতে পারেননি স্থায়ী শ্রমিকেরা। আটকে পড়েন ম্যানেজার পিএসএন রাজু। কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
ঠিকা শ্রমিক বৈদ্যনাথ টুডু, বিধান বাগদিদের অভিযোগ, “আমারা ন্যায্য মজুরি পাই না। আমাদেরই দলের নেতা সোমনাথবাবু মজুরি থেকে ‘কাটমানি’ নিয়ে নেন। পিএফ, ইএসআইয়ের সুবিধাও দেওয়া হয় না।” সোমনাথবাবু অবশ্য দাবি করেন, “আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে।” কাঁকসার তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদ সদস্য দেবদাস বক্সী বলেন, “কারখানা কর্তৃপক্ষকে বলব, ঠিকাদারের মাধ্যমে না দিয়ে মজুরি যেন সরাসরি শ্রমিকদের হাতে দেওয়া হয়।” দুর্গাপুর আঞ্চলিক শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে দ্রুত সমস্যা মেটানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy