চেনা মেজাজে। —নিজস্ব চিত্র।
শহরে বাস ঢোকা বন্ধের দ্বিতীয় দিন অনেকটাই ছন্দে ফিরল বর্ধমান। তবে, এ দিনও জিটিরোড ও শহরের অনেক রাস্তায় দেখা গিয়েছে দীর্ঘ যানজট।
বর্ধমানের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেন, “শহরের বড় অংশে বাস ঢুকতে না দেবার সিদ্ধান্ত যে যথেষ্ট যুক্তযুক্ত ছিল তা প্রমাণ হতে শুরু করেছে। আমরা মানুষের কাছ থেকে এই ব্যাপারে মতামত সংগ্রহ করছি। তাতে যা মনে হচ্ছে, মানুষ খুশি। আগামীদিনে মানুষের সহযোগিতা নিয়ে আমরা আরও বেশি যানজট মুক্ত শহর গড়তে পারবো।”
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যাত্রীবাহী বাসের শহরে ঢোকা বন্ধের পরে যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল, সেখান থেকে অনেকটাই বেরিয়ে এসেছে শহর। বীরহাটা থেকে স্টেশন পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাসের আনাগোনা আগেই বন্ধ হয়েছে। এ বার বীরহাটা থেকে নবাবহাট পর্যন্ত মালবাহী ট্রাক ও অন্যান্য যান পার্কিংয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। জিটিরোডের উপরে যানজট কমাতেও এ বার রাস্তায় নেমেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বর্ধমান থানার পুলিশ বীরহাটা থেকে নবাবহাট পর্যন্ত কিছু মালবাহী ট্রাককে আটকে মামলা দায়ের করেছে। শহরের রাস্তায় এ দিন মিনিবাস ও পরিবেশবন্ধু অটো চলাচল করতে দেখা গিয়েছে।
জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই বিজয়তোরন সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কিছু মোটরবাইক আটক করেছি। এই অভিযানের মাধ্যমে বর্ধমানের মানুষ ও ব্যবসায়ীদের কাছে আমরা জানাতে চাই যে, শহরের বুকে বাস ঢোকা যেমন বন্ধ হয়েছে, তেমনই রাস্তার পাশে যেখানে সেখানে পার্কিং করিয়ে রাখাও বন্ধ করা হবে। এই অভিযান চলবে।”
এ দিন পুলিশের অভিযানের পরে শহরের বীরহাটা থেকে নবাবহাট পর্যন্ত রাস্তায় যাঁরা গাড়ি বা মোটর বাইক করে বেরিয়েছেন তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন পরে ওই রাস্তায় তুলনায় সচ্ছন্দে চলাচল করা গিয়েছে। তবে, এ দিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা গিয়েছে সারি দিয়ে জিটি রোডের দু’পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ট্রাক, মিনি ট্রাক ও ম্যাটাডোর। চালকদের অভিযোগ, পুলিশ বলেছে, জিটি রোডের দু’পাশে রাস্তা ছেড়ে অন্তত দশফুট দূরে ট্রাক ও মিনি ট্রাক পাকিং করতে হবে। কিন্তু শহরের মধ্যে দিয়ে যে জিটি রোড গিয়েছে, তার দু’পাশে দশ ফুট করে রাস্তাই নেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ দিনও বর্ধমানের বীরহাটা মোড়ে দক্ষিণ দামোদরের দিক তেকে আসা বাস থেকে অনেকেই নেমেছেন। বীরহাটা মোড়ে বিশাল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকার কারণে তৈরি হয়েছে যানজট। দাঁড়িয়ে থাকা বাস ও তার পিছনে আটকে থাকা অন্যান্য যানবাহনের দীর্ঘ সারির জন্য রাস্তা পারাপার হওয়া নিয়ে সমস্যা দেখা যায়। এসপি জানান, তিনকোনিয়ার পরিত্যক্ত বাসস্ট্যান্ডে ট্রাক ও মিনিট্রাক-সহ সমস্ত ধরনের যানবাহনকে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, ওই পরিত্যক্ত বাসস্ট্যান্ডে পাকিংয়ের জন্য দ্রুত টেন্ডার ডাকা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy