ফেসবুকে প্রচার প্রার্থীর। —নিজস্ব চিত্র।
ঈশ্বর এ বার ফেসবুকে।
ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য সোসাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুককে বেছে নিলেন বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র দাস। তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৩০ মার্চ, রবিবার ফেসবুকের মাধ্যমে রাত ৯টা থেকে ১০টা তাঁর কেন্দ্রের ভোটারদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।
গত লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান জেলার তিনটি আসনেই জিতেছিল বামফ্রন্ট। এ বার প্রার্থী তালিকায় জেলায় বর্ধমান-দুর্গাপুর ও আসানসোল কেন্দ্রে গত বারের জয়ী সাংসদকে প্রার্থী করা হলেও বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে অনুপ সাহার পরিবর্তে প্রার্থী করা হয়েছে কাটোয়ার রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক ঈশ্বরবাবুকে। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর থেকেই জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়েন তিনি। গতানুগতিক ভাবে দেওয়াল লিখন, পোস্টার, ফেস্টুন, বাড়ি বাড়ি প্রচারের সঙ্গেই ভোরবেলা স্টেশনে গিয়েও প্রচার করছেন তিনি। পথে-প্রচারে দিন-রাত এক করে ফেলার পরে এ বার তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে পৌঁছে যেতে চান ভোটারদের কাছে। প্রার্থীর কথায়, “নতুন প্রজন্মের ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে গেলে ফেসবুক হল অন্যতম মাধ্যম। নতুন ভোটারদের প্রার্থীর থেকে অনেক কিছু জানার থাকে। যেটা প্রচারের সময়ে মুখোমুখি তাঁরা বলতে পারেন না। তাই ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে কথা বলব।”
ফেসবুক প্রচারের জন্য ৩০ মার্চই বাছলেন কেন? উত্তরে ঈশ্বরবাবু বলেন, “ওই দিনটা রবিবার পড়েছে। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা সাধারণত রবিবার রাতে অনলাইন থাকেন। তাই আপাতত ওই দিনটাই বেছে নেওয়া হয়েছে।” রবিবার পূর্বস্থলীতে দলীয় কর্মসূচি মিটিয়ে রাতে কালনা জোনাল কমিটির অফিসে বসেই ফেসবুকে ভোটারদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেবেন তিনি। এই বাম প্রার্থী অবশ্য ফেসবুকে দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয়। প্রচার শুরুর পর থেকে বিভিন্ন মুর্হূতের ছবি নিয়মিত পোস্ট করা হয় তাঁর অ্যাকাউন্টে। তবে, শুধুমাত্র ভোটারদের সঙ্গে কথা বলার জন্য রবিবার রাতেই প্রথম ‘অনলাইন’ থাকবেন তিনি।
দলীয় প্রার্থীর এই উদ্যোগ প্রচারে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলেই আশা করছেন সিপিএম নেতৃত্ব। দলের পূর্বস্থলী জোনাল কমিটির সম্পাদক সুব্রত ভাওয়াল বলেন, “নতুন ভোটারদের একটা বড় অংশ কলেজ ও চাকরি সূত্রে বেশিরভাগ সময়েই বাড়ির বাইরে থাকেন। বাড়িতে গিয়ে তাঁদের দেখা পাওয়া যায় না। তাই ফেসবুকে প্রচার।”
তবে বাম প্রার্থীর এই অনলাইন প্রচারকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল। বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, “আমাদের কর্মী-সমর্থকেরাও ফেসবুকে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার করছেন। সেখানে রাজ্য সরকারের তিন বছরের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরা হচ্ছে। দলীয় প্রার্থীরাও প্রচারে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। শুধু ফেসবুকে প্রচার করলেই হবে না, মানুষের সমর্থনটাই বড় কথা।”
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনের আগে ফেসবুক-সহ বিভিন্ন সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেই নজর রাখা হচ্ছে। কালনার মহকুমাশাসক সব্যসাচী ঘোষ বলেন, “এই ধরনের সাইটে এমন কোনও মন্তব্য যদি করা হয় সেটা নির্বাচনী বিধি ভাঙছে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচন পর্যন্ত এই বিষয়ে কড়া নজরদারি থাকবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy