—ফাইল চিত্র।
পুজোর আগে রাজ্যে ফের বড়সড় আন্দোলনে নামতে চলেছে কুড়মি সমাজের একাংশ। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ফের ‘রেল টেকা ও ডহর ছেঁকা’ (কুড়মালি ভাষায় যার অর্থ রেল ও সড়ক অবরোধ) আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, সিআরআই রিপোর্টের যে সব ব্যাখ্যা কেন্দ্র চেয়ে পাঠিয়েছে, তা যাতে শীঘ্রই পাঠিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। কুড়মিদের এই আন্দোলনের হুমকির জেরে জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে পুজোর আগে ফের রেল ও সড়ক পরিবহণ বিপর্যস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কেন্দ্রের কাছে সিআরআই রিপোর্টের ‘কমেন্ট ও জাস্টিফিকেশন’ পাঠানোর দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে কুড়মিদের একাধিক সংগঠন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে সেই আন্দোলন জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। কুড়মিদের দাবি, তাঁদের প্রবল আন্দোলনের মুখে পড়ে রাজ্য সরকারের তরফে দাবিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই দাবি পূরণ না করায় ফের জঙ্গলমহলের পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে পুজোর মুখে ‘রেল টেকা ও ডহর ছেঁকার’ ডাক দিয়েছে কুড়মি সমাজ। কুড়মি সমাজের নেতা অজিতপ্রসাদ মাহাতো বলেন, ‘‘২০ সেপ্টেম্বর থেকে লাগাতার পুরুলিয়ার কুস্তাউর ও ঝাড়গ্রামের খেমাশুলিতে রেল অবরোধ করা হবে। পাশাপাশি, ওই দু’টি জায়গায় সড়ক অবরোধেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। পুলিশ আমাদের জোর করে আন্দোলন থেকে বিরত করার চেষ্টা করলে ওই দুই জেলার একাধিক জায়গায় রেল অবরোধ হবে।’’
পুজোর মুখে ফের কুড়মিদের আন্দোলনে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন নিত্যযাত্রীরা। আশঙ্কা, পুরুলিয়ার কুস্তাউরে রেল অবরোধ হলে পুরুলিয়া-হাওড়া, পুরুলিয়া-আসানসোল, পুরুলিয়া-খড়গপুর ও আসানসোল-টাটা রুটের ট্রেন চলাচলে তার প্রভাব পড়তে পারে। একই ভাবে খেমাশুলিতে রেল অবরোধ হলে খড়গপুর-টাটা রুট-সহ এ রাজ্য থেকে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে যাওয়া সমস্ত ট্রেন চলাচলেই পড়তে পারে প্রভাব।
অজিতপ্রসাদ বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের মুখে পড়লে তার সমস্ত দায় রাজ্য সরকারের। আমরা তিন মাস আগে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে রেল মন্ত্রক সমস্ত জায়গায় এই কর্মসূচির কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি পালন করলেই আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেব। কিন্তু এ রাজ্যের সরকার প্রতিশ্রুতি পালন না করায় বাধ্য হয়ে ফের আন্দোলনে নামতে হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy