জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলছে। অধিকাংশ জায়গায় বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় অব্যাহত রোগীদের হয়রানি। গণইস্তফা দেওয়া, চলছে তা-ও। তবে সে সবের মাঝে কোথাও কোথাও রোগীর প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া লড়াইয়ের ছাপও রাখছেন ডাক্তারেরা। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে— বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে শনিবার আন্দোলন এবং পরিষেবা পর্ব চলেছে এ ভাবে।
বাঁকুড়া মেডিক্যালের ২১ জন চিকিৎসক গণইস্তফা দেন এ দিন। সেখানে বহিবির্ভাগ বন্ধ ছিল। মেদিনীপুর মেডিক্যালের পরিস্থিতিও জটিল। সেখানে এ দিন ইস্তফা দেন হাসপাতালের ২৬ জন চিকিৎসক। শিশু বিভাগের ১১ জন ডাক্তারের সকলেই ইস্তফা দিয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। তবে জরুরি বিভাগে পরিষেবা সচল ছিল, বহির্বিভাগও খোলা ছিল। কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শ’খানেকের মধ্যে ৪০ জন চিকিৎসক এ দিন পদত্যাগ করেন। তবে রাত পর্যন্ত কোনও পদাধিকারী পদত্যাগ করেননি। কোনও রকমে জরুরি বিভাগ চললেও, বাকি কোনও বিভাগে ডাক্তার ছিলেন না। বহির্বিভাগ ছিল তালাবন্ধ। রোগীরা ফিরে গিয়েছেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজেও বর্হিবিভাগ বন্ধ। সেখানে ৬১ জন চিকিৎসক ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ করে কলেজের অধ্যক্ষ সুহৃতা পালের কাছে চিঠি দিয়েছেন।
ছবিটা আলাদা নয় উত্তরবঙ্গের। মালদহ মেডিক্যালে বর্হিবিভাগ বন্ধ। আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে কলেজের অন্দরমহলেও। অভিযোগ, মেডিক্যালের ওয়ার্ডগুলিতে ঠিক মতো চিকিৎসা পরিষেবা মিলছে না। সেখানে শুক্রবার ৩৬ জন চিকিৎসক গণইস্তফা দিয়েছেন বলে খবর। যদিও এ দিনও প্রত্যেকে কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে রোগীদের দুর্ভোগ চলছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেও। অন্তর্বিভাগে রোগী ভর্তি কমে গিয়েছে। যাঁরা ভর্তি রয়েছেন, তাঁরাও থাকতে চাইছেন না চিকিৎসা পরিষেবা যথাযথ মিলছে না অভিযোগে। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আবার বর্হিবিভাগ এ দিন খোলা ছিল। তবে রোগীদের একাংশের অভিযোগ, সকাল ৯টা থেকে বর্হিবিভাগ খোলা থাকার কথা হলেও, একাধিক ইউনিটে চিকিৎসকেরা প্রায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা পরে আসেন। ফলে, রোগীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগ মানেননি। জলপাইগুড়ি জেলার সাত ব্লকের বিএমওএইচ ও ব্লকের চিকিৎসকরা মিলিয়ে মোট ৩০ জন এ দিন গণইস্তফা দিয়েছেন।