ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে শুরু হয়ে গেল ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। আর প্রথম দিনই প্রশাসনিক ক্যাম্পগুলিতে জমা পড়ল ৩ লক্ষেরও বেশি আবেদন। সরকারের এই কর্মসূচিকে ঘিরে সাধারণ মানুষের সাড়া এবং প্রশাসনের তৎপরতা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে তাঁর আহ্বান— বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প এবং সরকারি পরিষেবার সুযোগ নিতে সবাই আরও বেশি করে প্রশাসনিক ক্যাম্পে যান। মোট চার দফায় কোন কোন সময়ে ক্যাম্প বসবে, টুইটারে এ দিন তা-ও রাজ্যবাসীকে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দিতে ‘সরকার দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছবে’, এ কথা মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ঘোষণা করেছিলেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সেই কর্মসূচি শুরু হয়ে গিয়েছে। আর সেই সূচনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে ফের বিশদে জানিয়েছেন এই কর্মসূচির বিষয়ে। খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ঐক্যশ্রী, জাতিগত শংসাপত্র, তফসিলি বন্ধু, জয় জোহার, কৃষকবন্ধু এবং ১০০ দিনের কাজ— এই সবক’টি প্রকল্পের সুবিধাই মিলবে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির ক্যাম্পগুলি থেকে। এই সব প্রকল্প বা সরকারি পরিষেবার বিষয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে, সে সবও জমা নেওয়া হবে সেখানেই।
রাজ্যের ৩৪৪টি ব্লকে মোট ২০ হাজার ক্যাম্প করা হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছিল। প্রত্যেকটি পঞ্চায়েতে পৌঁছে ক্যাম্প করবেন সরকারি আধিকারিক ও কর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের আবেদনের ভিত্তিতে ওই সব ক্যাম্প থেকেই তাঁদের সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে। সরকারি পরিকল্পনা এই রকমই। তাতে সাড়াও কিন্তু খারাপ মেলেনি প্রথম দিনে। রোজ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ক্যাম্প চলার কথা। বিভিন্ন জেলা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টে পর্যন্ত যে খবর নবান্নে পৌঁছেছে, তার ভিত্তিতে মমতা জানান যে, প্রথম দিনেই ৩ লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির ক্যাম্পগুলিতে।