ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ফের আদালতের কাঠগড়ায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভোটের ফলপ্রকাশের আগে সংশ্লিষ্ট মামলার ফয়সালা হবে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশ।
ওই কৌঁসুলিরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ২০১৩ সালের রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের মামলা এবং বিধাননগরের পুরভোটে অস্থায়ী রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়োগ নিয়ে দায়ের করা মামলা দু’টির নিষ্পত্তি হয়নি এখনও। সেই জোড়া মামলা ধামাচাপা পড়ে রয়েছে বলে আইনজীবীদের অভিযোগ।
কয়েক বছর ধরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বার বার। প্রশ্ন উঠছে, কমিশনের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা বা কমিশনকে চাপের মুখে কাজ করতে বাধ্য করানোর ব্যাপারে ফের হাইকোর্টে মামলা দায়ের হলে তার ভবিষ্যৎ কী হবে? নতুন মামলাও ধামাচাপা পড়ে যাবে কি না, সেই প্রশ্ন তুলছেন আইনজীবীরা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র পেশের সময়সীমা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েও পরে তা প্রত্যাহার করায় সোমবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। কমিশনের নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি তালুকদার। নির্বিঘ্নে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছেন। সব প্রার্থী যাতে নির্বিঘ্নে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা পেশ করার নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট। অনেক কৌঁসুলিই ঘনিষ্ঠ মহলে প্রশ্ন তুলছেন, এই মামলার ফয়সালা হবে তো?
আরও পড়ুন: কিস্যু হয়নি! সন্ত্রাস নেই, দাবি মমতার, বিরোধীরা অনড়ই
আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ জানান, মীরাদেবী রাজ্য নির্বাচন কমিশনার থাকাকালীন পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিতর্ক-বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। অবসরপ্রাপ্ত ওই আইএএস আদালতে জানান, ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার জন্য রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ করার প্রয়োজন নেই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের যে-ক্ষমতা রয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনেরও সেটা আছে। কিন্তু সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি।
মীরাদেবীর পরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হন সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়। অরুণাভবাবু জানান, বিধাননগরে পুরভোটের সময়ে শাসক দলের চাপের মুখে সুশান্তবাবু ইস্তফা দেন। পরিবহণসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ত়ড়িঘড়ি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার-পদে নিয়োগ করে রাজ্য। সেই নিয়োগ নিয়েও মামলা হয়। শুনানি হয় বাইশ বার। কিন্তু সেই মামলার ফয়সালা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy