Advertisement
১১ মে ২০২৪

জ্যাংড়ায় ভোটের লাইনে নেই ভিড়

রাজারহাটের জ্যাংড়া হাতিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌরাঙ্গনগর নবীনচন্দ্র অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথ কেন্দ্রের সামনে আয়োজনে ত্রুটি নেই। কিন্তু গত মঙ্গলবারের মতো ভোটারের সেই লম্বা লাইন কোথায়?

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

আর্যভট্ট খান
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৮ ০২:৩৩
Share: Save:

বুথের তিন দিকের রাস্তায় পুলিশের চেক পোস্ট। চলছে কাঁদানে গ্যাস নিয়ে কমপক্ষে ১০০ পুলিশের টহলদারি। রাজারহাটের জ্যাংড়া হাতিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌরাঙ্গনগর নবীনচন্দ্র অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথ কেন্দ্রের সামনে আয়োজনে ত্রুটি নেই। কিন্তু গত মঙ্গলবারের মতো ভোটারের সেই লম্বা লাইন কোথায়?
এই নিরাপত্তা বলয় দেখে অবাক সত্তরোর্ধ্ব খুকু মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘এই নিরাপত্তা সে দিন থাকলে আমাকে পালাতে হত না। চোখের সামনে দেখতে হত না ব্যালট বাক্স ভেঙে ফেলে ব্যালট পেপার পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’ পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা এক গৃহবধু। তিনি বলেন, ‘‘ভোটের গন্ডগোলের মধ্যে হঠাৎ একটা আধলা ইট আমার মাথায় এসে লাগে। আমাদের মতো সাধারণ ভোটারকে কেন তৃণমূল ও বিজেপির বোমা-গুলির লড়াইয়ে পড়তে হয়েছিল বলতে পারেন?’’
ক্ষুদিরাম পল্লি ও সুকান্ত পল্লির অধিকাংশ বাসিন্দার অভিযোগ, তাঁরা আতঙ্কে ভোট দিতে যেতে পারেননি। ক্ষুদিরাম পল্লির বাসিন্দা সুজিত মণ্ডল বলেন, ‘‘আমার দাদা মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলকে পুলিশ মঙ্গলবার গোলমাল করার অভিযোগে তুলে নিয়ে গিয়েছে। কোন সাহসে ভোট দিতে যাব?’’
ক্ষুদিরাম পল্লির কয়েকটি দোকানের দেওয়ালে লিখে বিজেপি ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, এলাকায় তাদের সমর্থকদেরই বেশি গ্রেফতার করেছে নিউটাউন থানার পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছেন বিজেপির দুই প্রার্থী বাপি মণ্ডল ও অজিত মণ্ডলও। অজিত মণ্ডলের স্ত্রী স্বপ্না মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের মারধর করে, পুরুষদের পাড়া ছাড়া করে, পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে আমাদের প্রার্থীদের গ্রেফতার করিয়ে ভোট করছে তৃণমূল। এই ভোট প্রহসন ছাড়া কিছু নয়। তাই আমরা ভোট বয়কট করেছি।’’

আরও পড়ুন: সকালেই পৌঁছে গিয়েছিল রাজ্যপালের রিপোর্ট, তার পরেই হিংসা নিয়ে চড়া স্বর প্রধানমন্ত্রীর
যদিও জ্যাংড়া হাতিয়ারা দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান শিবশঙ্কর গায়েন বলেন, ‘‘মঙ্গলবার বিজেপির হামলায় আক্রান্ত হয়ে আমাদের দু’জন কর্মী হাসপাতালে। তবু আমরা সাহস করে ফিরে এসেছি ভোট দিতে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE