দলের শীর্ষ নেতার সামনে জেলার নেতা তথা মন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, ‘‘অঞ্জলি ভোটে লড়বেন না।’’ মানতে পারেননি বছর পঞ্চান্নর অঞ্জলি। পুরুলিয়ার মানবাজার ২ পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সদস্য তৃণমূলের অঞ্জলি মাহাতো। দলের নেতারা বোঝানোয় যেখানে রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের অনেক বিক্ষুব্ধই ‘গোঁজ’ হয়ে দাঁড়ানোয় ক্ষান্ত দিয়েছেন, অঞ্জলি সেখানে অনড়। তিনি তৃণমূলের প্রতীক পাওয়া নিজের জায়ের বিরুদ্ধে লড়ছেন।
অঞ্জলির জা যে সে প্রার্থী নন। তিনি মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী তথা জেলা পরিষদের বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ নিয়তি মাহাতো। দলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো আসরে নেমেও অঞ্জলিকে ভোটের ময়দান থেকে সরিয়ে আনতে পারেননি। তাই কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী প্রয়াত সীতারাম মাহাতোর পরিবারের এই দুই বৌমার লড়াইয়ের দিকে এখন অনেকের নজর।
মানবাজার ২ ব্লকের বারি গ্রামের বাসিন্দা সীতারাম মাহাতোর পরিবারে বিয়ে হয়ে আসার পরেই নিয়তি ও অঞ্জলির রাজনীতিতে পা রাখা। নিয়তি সীতারামবাবুর পুত্রবধূ আর অঞ্জলি তাঁর ভাইপোর স্ত্রী। দু’জনকেই সীতারামবাবুর সঙ্গে ভোটের প্রচারে দেখেছেন এলাকাবাসী। তৃণমূলের জন্মলগ্নে সীতারামবাবুর সঙ্গে নিয়তি সে দলে চলে আসেন। ২০১১ সালে তৃণমূলে যোগ দেন অঞ্জলি। তার আগে কংগ্রেসের হয়ে অঞ্জলি আর তৃণমূলের হয়ে নিয়তি ভোট-ময়দানে নামতেন। কিন্তু কোনও দিন মুখোমুখি লড়াই হয়নি। এ বার হচ্ছে। জেলা পরিষদের ৩ নম্বর আসনের জন্য।