Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ভোট প্রক্রিয়া স্থগিত কোর্টে

রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। ১৬ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৪৮
Share: Save:

রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। ১৬ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। সে দিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে মনোনয়ন পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। তা দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে আদালত।

তৃণমূলের অত্যাচার, মনোনয়ন পেশে বাধার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল বিজেপি। এর পর রাজ্য নির্বাচন কমিশন মনোনয়ন পেশের সময়সীমা এক দিন বাড়িয়েও তা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার গত মঙ্গলবার কমিশনের মনোনয়ন পেশের সময় বৃদ্ধি না-করার সিদ্ধান্তের উপরে স্থগিতাদেশ দেন।

এ দিন সেই মামলার পরবর্তী শুনানির পরে বিচারপতি তাঁর রায়ে বলেন, ভোটের নির্ঘণ্ট স্থির করা বা তা বদল করার এক্তিয়ার কমিশনের আছে। একই সঙ্গে তিনি এ-ও বলেন যে, হাইকোর্ট নির্বাচনী প্রক্রিয়া বন্ধ করার পক্ষে নয়। হাইকোর্ট চায় নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে ও নির্বিঘ্নে হোক।

তবে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আজ, শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চে যেতে পারে তৃণমূল।

তৃণমূলের আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কোর্টে বলেন, নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তা বন্ধ করার এক্তিয়ার আদালতের নেই। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন নির্দেশও পেশ করা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব নীলাঞ্জন শান্ডিল্যের কাছে জানতে চান, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে ৯ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কমিশন কী করেছে?

সুপ্রিম কোর্ট সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিল কমিশনকে। সচিব জানান, ভোট-নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকে নিয়মমতো সবই করেছে কমিশন। সব অভিযোগ সম্পর্কেই ব্যবস্থা নিয়েছে।

৯ এপ্রিল রাতে কমিশন বলেছিল, ১০ তারিখও বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। ১০ তারিখ সকালে সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়। আদালত জানতে চায়, ওই সময়সীমার মধ্যে কত জন মনোনয়ন জমা দিতে চেয়েছিলেন। সচিব জানান, নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান তাঁর কাছে নেই। বিচারপতি এ-ও জানতে চান, ওই সময়ের মধ্যে কত অভিযোগ কমিশনে জমা পড়েছে? সচিব তা-ও জানাতে পারেননি।

এর পরেই কত জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, কত জনের মনোনয়ন ‘স্ক্রুটিনি’ (খতিয়ে দেখা) হয়েছে, কত জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে— কমিশনকে তার বিস্তারিত রিপোর্ট ১৬ এপ্রিল দাখিল করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। মনোনয়ন পেশের সময় বৃদ্ধি না-করার যে সিদ্ধান্ত কমিশন নিয়েছিল, তার উপরে স্থগিতাদেশও জারি রইল বলে বিচারপতি জানান।

তবে ভোট প্রক্রিয়া স্থগিত করলেও মামলাকারী বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার আদালতে হাজির না থাকায় তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন বিচারপতি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE