‘অন্যায়’ করলে নিজের দলের নেতা-কর্মীদেরও তিনি রেয়াত করেন না বলে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটের তিন দিন আগে শুক্রবার ভাঙড়ের নির্দল প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে বেরিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন হাফিজুল মোল্লা নামে এক যুবক। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় নেতা এবং তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামকে ওই রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। ভোটের আগের দিন রবিবার এবিপি আনন্দকে ফোনে মুখ্যমন্ত্রী ওই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘আরাবুল জেলা পরিষদের প্রার্থী। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে, ব্যাপারটা অন্যায় হয়েছে। অন্যায় করলে তৃণমূলের অনেক ছেলে-মেয়েকেই রাজনীতির রং না দেখে আমরা গ্রেফতার করেছি। শম্ভুনাথ কাও কাউন্সিলর ছিল। সে জেলে গিয়েছে। সিপিএমের সময়ে কিন্তু তারা নিজেদের লোকেরা অন্যায় করলে গ্রেফতার করত না। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতেও এই দৃষ্টান্ত দেখা যায় না।’’ আজ ভোটের দিনও তাঁর প্রশাসন এই নীতিতেই চলবে বলে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস।
বিরোধীরা অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর ‘রাজধর্ম’ পালন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তাদের দাবি, পুলিশ গিয়ে আরাবুলকে সে দিন ধরে না নিলে তাঁকে জনরোষের মুখে পড়তে হত। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা মনোজ চক্রবর্তী ও সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবীন দেবের বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গ্রেফতার হয়েছে, ভাল কথা। তা হলে বাকি ঘটনাগুলির ক্ষেত্রেও মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিলেন না কেন? তৃণমূলেরই তো ১১ জন খুন হয়েছেন, ওঁরা বলছেন। বিরোধীদের উপরে হামলা হলে তাঁদের বিরুদ্ধেই বরং মামলা হয়েছে।’’