প্রতীকী ছবি।
আগামী লোকসভায় জাতীয় স্তরে মোদী-বিরোধী রাজনীতিতে রাহুল গাঁধী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমঝোতার নীল নকশাটি যা-ই হোক, পঞ্চায়েতের হিংসা নিয়ে আজ দিল্লিতে সরবই হল কংগ্রেস।
২৪ আকবর রোডে এআইসিসি-র মঞ্চ থেকে দলের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা আজ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের ভোটে যে হিংসা হচ্ছে, তার আমরা এক কথায় নিন্দা করছি। গণতন্ত্রে ভোট পরিচালনার সময়ে নিরপেক্ষতা প্রয়োজন। কিন্তু যে ছবি সেখানে ফুটে উঠছে, তা নিন্দনীয়।’’ কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁর দাবি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তাদের গ্রেফতার করতে হবে।
রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে হিংসা নিয়ে বিজেপি বরাবরই সরব। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেতাদের দাবি সত্ত্বেও পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বের সময় থেকে সে ভাবে সরব হতে দেখা যায়নি এআইসিসি-কে। তার পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এ নিয়ে রাহুল গাঁধীর কাছে রিপোর্ট দেন। তখন থেকে মুখ খুলতে শুরু করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রামলীলা ময়দানে রাহুল নিজেও এর সমালোচনা করেন। কর্মীদের মনোবল বাড়াতে লড়াই জারি রাখার দাওয়াই দেন তিনি। আজ মমতার নাম করে এআইসিসি কোনও আক্রমণ করেনি বটে, তবে পঞ্চায়েতে হিংসা নিয়ে এই প্রথম তাদের এমন কড়া বিবৃতি তাৎপর্যপূর্ণ।
রণদীপ অবশ্য আজ নিজের বক্তব্যেও কিছুটা ভারসাম্য রেখেছেন। তাঁর কথায়, টিভির পর্দায় দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেতা বিজেপিকে মারছেন। আবার বিজেপি হিংসা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করছে তৃণমূলও। রণদীপ বলেন, ‘‘দোষী যে দলই হোক, নির্বাচন কমিশন কঠোর ব্যবস্থা নিক।’’ কংগ্রেসের এক নেতার মতে, লোকসভায় সমঝোতা যা-ই হোক, যে হিংসা পশ্চিমবঙ্গে হচ্ছে সেটিকে কোনও ভাবেই সমর্থন করা যায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy