মিছিল: ভাঙড়ের হাফিজুল মোল্লার মৃত্যুর প্রতিবাদে পথে। শহরে শনিবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী
রাজধর্ম পালনের তাগিদে নয়, আরাবুল ইসলামকে বাঁচানোর স্বার্থেই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার করিয়েছেন বলে মনে করেন ভাঙড়ের গণ আন্দোলনকারীরা এবং সিপিএম নেতৃত্ব। মৌলালি থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত শনিবারের মিছিলে এই অভিযোগে সরব হয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য অভিমত, সিপিএমের পক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছা বোঝা সম্ভবই নয়।
পঞ্চায়েত ভোটে ভাঙড়ের নির্দল প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে গিয়ে গুলি লেগে মারা গিয়েছেন হাফিজুল মোল্লা নামে মাছিভাঙার এক যুবক। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। কিন্তু হাফিজুলকে খুনে করার প্রতিবাদে এ দিন মৌলালি থেকে ধর্মতলা যে মিছিল হয়, সেখানে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু অভিযোগ করেন, ‘‘আরাবুলকে শাস্তি দেওয়ার জন্য পুলিশ ওকে ধরেনি, জনরোষ থেকে বাঁচাতেই ধরেছে।’’ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর অঙ্গুলি হেলনেই ভাঙড়ে আরাবুল-বাহিনীর সন্ত্রাস চলছে।’’ ভাঙড়ের জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির নেত্রী শর্মিষ্ঠা চৌধুরীরও প্রশ্ন, ‘‘আরাবুল এত দিন নাগাড়ে সন্ত্রাস চালালেও পুলিশ কি ঘুমোচ্ছিল? তার ভূমিকা হঠাৎ এখন মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারলেন?’’
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘সিপিএম কোনও দিন নিজের দলের নেতা-কর্মীদের দোষ দেখেনি। সুশান্ত ঘোষ, লক্ষ্মণ শেঠ, দীপক সরকারদের বিরুদ্ধে হাজার খুনের অভিযোগ থাকলেও তাদের গ্রেফতার করেনি। তাই তারা মুখ্যমন্ত্রীর রাজধর্ম পালনের মর্ম বুঝতে পারছে না।’’ বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার অরিজিৎ সিংহেরও কথায়, ‘‘এই খুনে আরাবুলের জড়িত থাকার কিছু প্রমাণ মিলেছে বলেই ওঁকে গ্রেফতার করেছি। বাকিরাও গ্রেফতার হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy