Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
State News

রাজ্যের নয়া ঋণ ৪৩ হাজার কোটি

বিরোধীদের অভিযোগ, গড়ে প্রত্যেক রাজ্যবাসীর ঘাড়ে এখন ৪৭ হাজার টাকার দেনা চেপে রয়েছে।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:১১
Share: Save:

ধারের বোঝা কমছে না রাজ্যের। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার সময়ে রাজ্যের মোট ঋণের পরিমাণ ছিল, ২ লক্ষ ৭ হাজার কোটি টাকা। ন’বছর পর সেই ধারের বোঝা হবে ৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮৩১ কোটি টাকা।

বিরোধীদের অভিযোগ, গড়ে প্রত্যেক রাজ্যবাসীর ঘাড়ে এখন ৪৭ হাজার টাকার দেনা চেপে রয়েছে। এই দেনা থেকে মুক্তির কোনও উপায় অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বাজেটে দেখাতে পারেননি। উল্টে আগামী অর্থবর্ষেও আরও ৪৩ হাজার কোটি টাকা ধার নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

ধারের বোঝা নিয়ে অর্থ-কর্তারা অবশ্য ভিন্ন মত পোষণ করছেন। তাঁদের বক্তব্য, বাম জমানায় নেওয়া ঋণ এবং তার সুদ শোধ করতে গিয়েই এখন বছরে ৫০-৫১ হাজার কোটি টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। রাজ্য নিজস্ব আয় বাড়িয়েও এই বিপুল অঙ্কের টাকা শোধ করতে পারছে না। ফলে বাজার থেকে ধার করা ছাড়া উপায় নেই।

আরও পড়ুন: ভোটের টানে নয়া ১১ প্রকল্প রাজ্য বাজেটে

তাঁদের আরও যুক্তি, কোনও রাজ্যের ধার নেওয়ার ক্ষমতা নির্ভর করে তার মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের উপর। ২০১১ সালে রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ছিল ৫ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকা। ২০২০-’২১-এ তা বেড়ে ১৪ লক্ষ ৪৩ হাজার কোটি টাকা হতে পারে। ফলে গাণিতিক অঙ্কে ঋণের পরিমাণ দেখে রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি যাচাই করা ঠিক হবে না।

অর্থনীতিবিদদের একাংশ অবশ্য এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাঁদের মতে, বাজেট নিয়ন্ত্রণ আইন চালু হওয়ার পর ঋণের ভার কমানোর লক্ষ্যে রাজ্যের নির্দিষ্ট পদক্ষেপ করা উচিত। যতটা সম্ভব ব্যয় নিয়ন্ত্রণই এর একমাত্র পথ।

কিন্তু মেলা-খেলা-উৎসব এবং ডোল বিলির একের পর এক কর্মসূচির ফলে খরচ বেড়েই চলেছে। যা সামাল দিতে ধারের উপর ধারই এখন সরকারি নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bengal Budget 2020
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE