Advertisement
E-Paper

বছর ঘুরিয়ে বাংলায় ফিরলেন ভারতী, আবার সেই জঙ্গলমহল

বৃহস্পতিবার বিজেপি-র ওই কর্মসূচিতে নয়াদিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বললেন দেশের ১৫ হাজার জায়গা থেকে এক কোটি দলীয় কর্মীর সঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে একমাত্র ঝাড়গ্রামের সঙ্গেই তাঁর কথা হয়। সেই কর্মসূচিতেই যোগ দিতে ভারতী ঘোষ ঝাড়গ্রামে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এ রাজ্যে দলের পর্যবেক্ষক তথা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২১:৩২

বছরখানেক নিখোঁজ থাকার পরে চলতি মাসের গোড়ায় প্রথম বার প্রকাশ্যে এসেছিলেন তিনি। তবে রাজ্যে নয়, দিল্লিতে। বিজেপি সদর দফতরে হাজির হয়ে সে দিন গেরুয়া দলে নাম লিখিয়েছিলেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষ। এ বার বাংলাতেও পা রাখলেন তিনি। বিজেপির ‘মেরা বুথ সবসে মজবুত’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে ফের জঙ্গলমহলে ঢুকলেন ভারতী। ঝাড়গ্রাম থেকে অংশ নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভিডিয়ো কনফারেন্সে।

বৃহস্পতিবার বিজেপি-র ওই কর্মসূচিতে নয়াদিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বললেন দেশের ১৫ হাজার জায়গা থেকে এক কোটি দলীয় কর্মীর সঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে একমাত্র ঝাড়গ্রামের সঙ্গেই তাঁর কথা হয়। সেই কর্মসূচিতেই যোগ দিতে ভারতী ঘোষ ঝাড়গ্রামে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এ রাজ্যে দলের পর্যবেক্ষক তথা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

প্রায় বছরখানেক বাংলার বাইরে কাটানোর পরে রাজ্যের যে অংশে প্রথম কোনও প্রকাশ্য কর্মসূচিতে অংশ নিলেন ভারতী ঘোষ, সেই এলাকারই দাপুটে পুলিশকর্তা ছিলেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং জঙ্গলমহলের অন্যান্য কিছু এলাকায় সে সময়ে ভারতীই ছিলেন তৃণমূলের শেষ কথা— বিরোধীরা এমনই অভিযোগ তুলতেন। সরকারি কর্মসূচির মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘জঙ্গলমহলের মা’ বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন সে সময়ের দাপুটে এই আইপিএস। পরে ভারতীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কের অবনতি নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়। ভারতীর বদলির নির্দেশ জারি হয়, নতুন পদ গ্রহণ না করে তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন।

আরও পড়ুন: অনুষ্ঠানে হাজির হতে ফোন! শোভনের প্রতি নরম তৃণমূল নেতৃত্ব? বাড়ছে জল্পনা

এর পরেই দাসপুর সোনা মামলায় নাম জড়ায় ভারতীর। তদন্তে নামে রাজ্য গোয়েন্দা দফতর— সিআইডি। তাঁর নামে লুকআউট নোটিসও জারি হয়। এর পর রাজ্য ছাড়েন তিনি। দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টের। তাঁর গ্রেফতারির উপর স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এর মধ্যেই গত ৪ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে হাজির হয়ে দলে যোগ দেন তিনি।

আরও পড়ুন: ‘সবাই কান খুলে শুনে রাখুন, পরিষ্কার করে বলে রাখছি...’ কী বললেন অনুব্রত?

যে জঙ্গলমহলে কর্মজীবনের শেষ দিকটা কাটিয়েছেন ভারতী, এ বার সেখানেই ফিরে এলেন তিনি। তবে পুলিশ কর্তা হিসাবে নয়, বিজেপি নেতা হিসাবে।

Bharati Ghosh Jungle Mahal Jhargram
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy