মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তে পাহাড়ে কর্তৃত্ব বাড়ল বিনয় তামাঙ্গদের। —ফাইল চিত্র।
আবার ধাক্কা খেলেন বিমল গুরুঙ্গরা। আর পাহাড়ে আরও একটু জমি পেয়ে গেল বিনয় তামাঙ্গ-অনীত থাপা জুটি। পাহাড়ের উন্নয়নমূলক কাজ অব্যহত রাখতে জিটিএ-র নতুন বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস গঠন করল রাজ্য সরকার। বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন বিনয় তামাঙ্গ। ভাইস চেয়ারম্যান অনীত থাপা। ৯ সদস্যের বোর্ডে থাকছেন জিটিএ-র প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারিও।
আরও পড়ুন: রোশন কেন রাজনাথের কাছে, প্রশ্ন রাজ্যের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বুধবার এই নতুন বোর্ড গঠনের কথা ঘোষণা করেন। পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত এই বোর্ডই জিটিএ চালাবে বলে তিনি জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পাহাড়ে এখন যা অবস্থা, তাতে নির্বাচন করানো যাবে না। কিন্তু দার্জিলিঙের উন্নয়নের কাজ যাতে আটকে না থাকে, তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হল।’’
আরও পড়ুন: ‘হোম’-এর আবেদনে বিড়ম্বনায় রাজ্যের ‘হোম সেক্রেটারি’
জিটিএ গঠন করে পাহাড়ের মানুষের কোনও লাভ হয়নি, পাহাড় একটুও স্বশাসন পায়নি বলে বিমল গুরুঙ্গ, রোশন গিরিদের দাবি। তাই ফের পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন গুরুঙ্গরা। জিটিএ-র কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই বলে জানিয়ে গুরুঙ্গরা জিটিএ থেকে পদত্যাগও করেছেন। সেই পদত্যাগপত্র যে গৃহীত হয়ে গেল, রাজ্য সরকারের নতুন পদক্ষেপে তা স্পষ্ট। কিন্তু শুধু গুরুঙ্গদের ইস্তফা গ্রহণ করেই মুখ্যমন্ত্রী থেমে থাকলেন না। পাহাড়ের উন্নয়নের ভার তুলে দিলেন বিনয় তামাঙ্গদের হাতে। প্রশাসনিক পদে আসীন হওয়ায় দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পঙে বিনয় তামাঙ্গদের প্রভাব আরও বাড়বে বলে রাজনৈতিক শিবির মনে করছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই আরও কোণঠাসা হবেন গুরুঙ্গরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy