সরব: নারদে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার দাবিতে পথে বিজেপি। বুধবার ধর্মতলায়। ছবি: রণজিৎ নন্দী
সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত শুরু করার পর মাঝখানে ১০ মাস কেন ঘুমিয়ে ছিল সিবিআই? এই খোঁটা এখনও সহ্য করতে হয় বিজেপি-কে। এই প্রশ্ন তুলেই দিদিভাই-মোদীভাই সমঝোতার অভিযোগে এখনও সরব বিরোধীরা। তাই নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা ফেরাতে নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে তেড়েফুঁড়ে পথে নামল বিজেপি। সিবিআইয়ের দফতরের সামনে দাঁড়িয়ে রাহুল সিংহ, দিলীপ ঘোষরা দাবি তুললেন, দয়া করে মানুষের বিশ্বাস ফিরিয়ে দাও। দ্রুত ধরপাকড় শুরু করো।
দিলীপবাবু, রাহুলবাবু, বিজেপির কোর কমিটির নেতা শমীক ভট্টাচার্য, সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের নেতৃত্বে ধর্মতলা থেকে এক্সাইড মোড় হয়ে সিবিআইয়ের দফতর নিজাম প্যালেস পর্যন্ত বিজেপির এ দিনের মিছিলে যথেষ্ট ভিড় হয়েছিল। ওই মিছিলে দলের কর্মীরা স্লোগান দেন, ‘চোর চোর চোর চোর/তৃণমূলের সবাই চোর’। মিছিলের শেষে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নারদ থেকে বাঁচার জন্য দিল্লি পর্যন্ত দৌড়চ্ছেন। টাকার বান্ডিল নিয়ে দোরে দোরে ঘুরছেন। কিন্তু এত করেও লাভ হবে না। পরিবর্তন হবেই। বাংলায় রামরাজ্য হবে।’’ সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে এক মাসের মধ্যে নারদ-তদম্তের প্রাথমিক কিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেই এক মাস পূর্ণ হবে আগামী ১৯ এপ্রিল। তার সাত দিন আগে নারদ-কাণ্ড নিয়ে সিবিআই দফতরের সামনে বিজেপির আন্দোলন ছিল তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: উস্কানিতে পা দিতে নিষেধ মুখ্যমন্ত্রীর
এ দিন সন্ধ্যায় রাজভবনে রাজ্যপালের দ্বারস্থও হন বিজেপি নেতৃত্ব। সেখান থেকে বেরিয়ে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুলবাবু বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর এক মাস পূর্ণ হতে চলেছে। অতএব, সিবিআইয়ের এ বার নারদ-কাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে এফআইআর শুরু করা উচিত। রাজ্যপালকে আমরা অনুরোধ করেছি, যাতে তিনি এ ব্যাপারে যাতে উপযুক্ত
পদক্ষেপ করেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, তাঁর এক্তিয়ারের মধ্যে যা করার, করবেন।’’ বিজেপি সূত্রের দাবি, রাজ্যপালকে দলের নেতারা অনুরোধ করেছেন, তিনি যেন সিবিআই অফিসারদের গোপনে ডেকে নারদ-কাণ্ডে দ্রুত এগোনোর পরামর্শ দেন। বিজেপি যখন নারদ-কাণ্ড নিয়ে রাস্তায় নেমেছে, তখন পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের অভিযোগ, নারদ-মামলায় অভিযুক্তদের বাঁচাতে রাজ্য কোষাগারের অর্থ ব্যয় করে আদালতে গিয়েছে সরকার। মান্নান জানান, করদাতাদের কত টাকা ওই কাজে খরচ হয়েছে এবং তা কোন খাত থেকে, সে কথা জানতে চেয়ে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেসের ১৭ জন বিধায়ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy