দিলীপ ঘোষ।
শুধু মাঠ নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় মাঠ ছাপিয়ে ভিড় উপচে পড়বে। আশাবাদী বিজেপি নেতৃত্ব।
সোমবার মেদিনীপুরে মোদীর সভার এক প্রস্তুতি বৈঠক হয়। ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব। বৈঠক শেষে বিজেপির দাবি, খুব কম করে হলেও মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় দু’লক্ষ লোক হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, “মেদিনীপুরের সভায় খুব কম করে হলেও দু’লক্ষ লোক আসবে। হয়ত সকলে মাঠে থাকতে পারবে না। মাঠ এবং আশেপাশের এলাকা যাতে ভর্তি হয়ে যায় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
গত মাসেই পুরুলিয়ায় সভা করে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। পরে এ বার মেদিনীপুরে আসছেন মোদী। ধান-সহ ১৪টি খারিফ শস্যের সহায়কমূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদীর মন্ত্রিসভা। দলীয় সূত্রে খবর, এর জন্য মোদীকে অভিনন্দন জানাতে ১৬ জুলাই মেদিনীপুরের কলেজ- কলেজিয়েট স্কুল মাঠে সভা করবে বিজেপি। ‘কৃষক কল্যাণ সমাবেশ’- এ উপস্থিত হয়ে অভিনন্দন গ্রহণ করার কথা মোদীর।
মেদিনীপুরকে বেছে নেওয়ার কারণ কী? বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “জঙ্গলমহলে বিজেপিকে লোকে সমর্থন করেছেন। মেদিনীপুর শহর ঐতিহাসিক শহর। পশ্চিম মেদিনীপুর কৃষকদেরই এলাকা। তাই এখানে সভা হবে।” বিজেপি সূত্রের খবর, সভায় হুগলির আরামবাগ, হাওড়া শহর এবং গ্রামীণ, তমলুক শহর এবং গ্রামীণ, ঘাটাল, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর প্রভৃতি এলাকা থেকে লোক আসবে।
এ দিনের প্রস্তুতি বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা সুরেশ পূজারী, শিবপ্রকাশ, রাহুল সিংহ প্রমুখ। এছা়ড়াও ছিলেন দিলীপবাবু, মুকুল রায়-সহ অন্য রাজ্য নেতারা। এ দিন বৈঠক হয়েছে একাধিক। কোনও বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের কার্যকর্তারা। কোনও বৈঠকে ছিলেন জেলার কার্যকর্তারা। সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বিজেপি সূত্রের খবর, মোদীর সভার দিন কোন নেতাদের কী দায়িত্ব তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বিজেপির কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতৃত্ব এ দিন কলেজ- কলেজিয়েট স্কুল মাঠ পরিদর্শন করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy