Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

আর জি করে বিক্ষোভের মুখে দিলীপ-কৈলাস

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ। বিজেপি-র দাবি, বসিরহাটের অশান্তির জেরে মৃত্যু হয়েছে আরএসএস কর্মী কার্তিক ঘোষের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে আর জি কর হাসপাতালে আনা হয়। এর পরেই তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও এই বিষয়ে পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৭ ১৯:৪৫
Share: Save:

বসিরহাটের বাসিন্দা কার্তিক ঘোষের মৃত্যু নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলের গণ্ডগোলের জেরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁদের গাড়ি আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। এমনকী, দু’পক্ষের মধ্যে মধ্যে হাতাহাতিও হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। দু’পক্ষের ধস্তাধস্তিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা হাসপাতাল চত্বর। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। বন্ধ করে দেওয়া হয় হাসপাতালের দু’টি ইমার্জেন্সি গেট।

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ। বিজেপি-র দাবি, বসিরহাটের অশান্তির জেরে মৃত্যু হয়েছে আরএসএস কর্মী কার্তিক ঘোষের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে আর জি কর হাসপাতালে আনা হয়। এর পরেই তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও এই বিষয়ে পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

আরও পড়ুন: শান্তির খোঁজে বুথ-বাহিনী

মৃত্যুর খবর পেয়ে সকালে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং জয়প্রকাশ মজুমদার হাসপাতালে পৌঁছন। মৃতের পরিবারের লোকজন তাঁদের সেখানে বাধা দেন বলে অভিযোগ। হাসপাতালের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কয়েক জনের সঙ্গে ওই দু’জনের বচসাও বাধে। তৃণমূলকর্মীরাই তাঁদের বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন লকেট। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

এর পর এ দিন বিকেলে দিলীপ ঘোষ এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয় হাসপাতালে গেলে ফের তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। ওই দু’জনের গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সমর্থকেরা। বিক্ষোভ শেষ পর্যন্ত হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়। বিক্ষোভের জেরে হাসপাতাল ছেড়ে যেতে বাধ্য হন দুই বিজেপি নেতা।

অন্য দিকে তৃণমূল সূত্রে খবর, হাসপাতালে অন্য রোগীদের কথা ভেবেই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন দলের সমর্থকেরা। গোটা ঘটনার দায় বিজেপির উপরেই চাপিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘অশান্তির মধ্যে বিজেপি কর্মী হাসপাতালে কী করতে গিয়েছিলেন?’’

তাঁকে পাল্টা কটাক্ষ করেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি জানান, শুধুমাত্র মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেই অধিকারটুকুও মিলল না বলে আক্ষেপ তাঁর। কৈলাস বলেন, ‘‘যা হচ্ছে সাধারণ মানুষের সামনে হচ্ছে, পুলিশের সামনে হচ্ছে।’’ বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘গোটা হাসপাতাল জুড়েই গুন্ডামি করছে তৃণমূল কর্মীরা। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী আমাদের এক কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE