\
পাহাড় নিয়ে আপাতত বিজেপি-র নানা রূপ!
এক দিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সাংবিধানিক সম্পর্ক রেখে রাজ্য সরকারকে প্রশাসনিক সাহায্যের আশ্বাস দিতে হচ্ছে। পাহাড়ে সোমবারই আরও ১০ কোম্পানি আধা-সামরিক বাহিনী পাঠানো হয়েছে। অন্য দিকে, পাহাড়ে তৃণমূলের রাজনৈতিক মোকাবিলার স্বার্থে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতৃত্বের পাশে থাকার বার্তা দিতে হচ্ছে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। আবার রাজ্য রাজনীতির বাধ্যবাধকতা মেনে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব মোর্চার পাশে দাঁড়াতে পারছেন না!
গোর্খাল্যান্ডের দাবি বিজেপি মোটেই সমর্থন করছে না বলে এ দিন ফের জানিয়েছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মোর্চা পৃথক দল। তাদের দাবি ও নীতির সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। ওরা আমাদের জোটসঙ্গী মাত্র।’’ দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার সঙ্গে গোর্খাল্যান্ড-প্রশ্নে রাজ্য বিজেপি যে সহমত নয়, তা জানিয়ে দিলীপবাবুর মন্তব্য, ‘‘আমাদের দলের নীতি সাংসদ-বিধায়করা ঠিক করেন না। উনি যা বলেছেন, তা দলের মত নয়।’’ গোর্খাল্যান্ডের দাবি মোর্চা কেন্দ্রীয় সরকারকেও জানিয়েছে। সে বিষয়ে দিলীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘বল কেন্দ্রের কোর্টে আছে। আমরা কোনও সুপারিশ করব না।’’ পাহাড়ে মোর্চার লাগাতার বন্ধ, পর্যটকদের প্রতি হুঁশিয়ারি, হিংসাত্মক আন্দোলন— কোনওটাই বিজেপি সমর্থন করে না বলেও দিলীপবাবু জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:পাঁচ শিশুকে বিক্রি করেন দাস দম্পতি
কেন্দ্রীয় বিজেপি-র একাংশ আবার গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে। তাদের বক্তব্য, এত দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করছিলেন, পাহাড় হাসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক অশান্তি তাঁর দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সাংসদ অহলুওয়ালিয়া গোটা বিষয়টি কেন্দ্রকে জানিয়েছেন। বিজেপি সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে বৈঠকের আর্জি জানিয়েছেন বিমল গুরঙ্গেরাও। প্রধানমন্ত্রীর সময় চেয়েছেন মোর্চা নেতৃত্ব। অহলুওয়ালিয়া এ দিন বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করে হস্তক্ষেপের দাবি করেছি। যাতে তৃণমূল-গোর্খা নেতাদের এক টেবিলে বসিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধান করা যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy