সমুদ্রের প্রবল জলোচ্ছ্বাসে সেতু ভেঙে তীব্র আতঙ্ক ছড়াল পর্যটন কেন্দ্র শঙ্করপুর ও তাজপুরের মাঝে জামুরা শ্যামপুর গ্রামে। সেতু ভাঙার খবর পেয়ে হাজার হাজার আতঙ্কিত গ্রামবাসী বাঁধের উপর এসে জড়ো হতে শুরু করে। সেতু ভাঙার খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতের প্রবল জলোচ্ছ্বাসে সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে। জলের ধাক্কায় সেতুর নীচের গ্রানাইট পাথর সরে যাওয়াতেই এই বিপত্তি বলে দাবি গ্রামবাসীদের। জলোচ্ছ্বাসের পাশাপাশি সমস্যা বাড়িয়েছে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া।
আরও পড়ুন:
নিম্নচাপের বৃষ্টি চলবে দিনভর, ভাইফোঁটাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা
ভাইয়ের পাতেও পড়তে পারে জিএসটি-র আঁচ
জামুরা শ্যামপুর গ্রামের ওই সেতুই শঙ্করপুর ও তাজপুর, এই দু’টি পর্যটন কেন্দ্রকে যুক্ত করে রেখেছে। গতকাল রাত থেকেই এলাকায় শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। সেই সঙ্গে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া। বাঁধ টপকে জল ঢুকতে শুরু করে গ্রামে। জলের ধাক্কায় ভেঙে পড়ে সেতুর একাংশ। সেতুর নীচের কালো পাথর তখনই ক্রমশ সরতে শুরু করে।
ভেঙে পড়েছে সেতুর নীচের অংশ।
এ দিন সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন এলাকার বিধায়ক অখিল গিরি, কাঁথি মহকুমা শাসক শুভময় ভট্টাচার্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, যুগ্ম বিডিও এবং সেচ দফতরের আধিকারিকেরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে সেতু মেরামতির কাজ। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে বালির বস্তা ফেলে সমুদ্রের জল আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শনিবারই সেখানে কালো পাথর ফেলে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা হবে। এলাকার বিধায়ক অখিল গিরির কথায়, ‘‘বালির বস্তা ফেলা শুরু হয়েছে। শনিবার বিকেল থেকেই কালো গ্রানাইট পাথর ফেলার কাজ শুরু হয়ে যাবে।”
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভারী বৃষ্টি বা ভরা কোটালের সময় প্রায়ই বাঁধ টপকে জল ঢুকে যায় গ্রামে। এ বারেও ঠিক তাই হয়েছে। সমুদ্রের জল ঢুকে খেতের ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘এই ভাবে আর কত দিন চলবে? এই সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধান চাই।’’