শনিবার রাতে পাহাড়ে বিপর্যয়ের পরে কেটে গিয়েছে চার দিন। এখনও খোঁজ নেই ডায়মন্ড হারবারের দক্ষিণ কামারপোলের বাসিন্দা হিমাদ্রি পুরকাইতের। বুধবার সেই ভাইয়ের খোঁজে সুখিয়াপোখরি পৌঁছেছেন তাঁর দাদা এবং পাঁচ জন প্রতিবেশী। সোনাদা গ্রাম ও সংলগ্ন যে সব এলাকায় হিমাদ্রি ঘোরাঘুরি করতেন, সেই সব জায়গায় তাঁরা সন্ধান চালাবেন বলে জানিয়েছেন দাদা প্রিয়ব্রত।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগে পড়তেন হিমাদ্রি। পাহাড়ে ভ্রমণের নেশায় কিছু হোমস্টে-র সঙ্গে মাঝেমধ্যে কাজ করতেন। পর্যটকদের নিয়ে যেতেন পাহাড়ে। সম্প্রতি এক বন্ধুর মাধ্যমে সুখিয়াপোখরি এলাকার সোনাদা গ্রামে একটি হোমস্টে-র সঙ্গে কাজ শুরু করেছিলেন। সেই কাজে গত ২২ সেপ্টেম্বর বেরিয়েছিলেন বাড়ি থেকে। বিপর্যয়ের রাতে ছিলেন হোমস্টে-র পাশের একটি তাঁবুতে। রাতের দিকে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। জলের স্রোতের সঙ্গে নেমে আসতে থাকে বোল্ডার, কাদা, গাছের গুঁড়ি। স্রোতের প্রবল দাপটে ওই হোমস্টে-সহ সোনাদা গ্রামের অনেকটাই ভেসে গিয়েছে।
সেই রাতে মাকে ফোন করেছিলেন হিমাদ্রি। পরে ফার্ম মালিককে ফোন করে জানান, তাঁর হয়তো আর ঘরে ফেরা হবে না। তার পর থেকেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না হিমাদ্রির সঙ্গে। স্থানীয় পুলিশের আশঙ্কা, বড় বিপদে পড়েছেন হিমাদ্রি।
প্রিয়ব্রত বলেন, ‘‘উৎকণ্ঠায় আর বাড়িতে বসে থাকতে পারছি না। ভাইয়ের খোঁজে অনেক জায়গায় যোগাযোগ করেছি। ওর বন্ধুরাও খোঁজ করছে। এ বার নিজেরাই উত্তরবঙ্গে এসেছি ভাইয়ের খোঁজ করতে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)