Advertisement
E-Paper

গুরুত্ব নেই পর্যটনে, খেদ পুরুলিয়ার শিল্পমহলের

পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার পর্যটনকেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো আগের থেকে উন্নত হওয়ায় গত কয়েকবছরে দুই জেলায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে পর্যটকের সংখ্যা।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:১৯
পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটে ‘চমকে’র প্রত্যাশায় ছিলেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। ছবি: সংগৃহীত।

পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটে ‘চমকে’র প্রত্যাশায় ছিলেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। ছবি: সংগৃহীত।

রাঢ়বঙ্গের অর্থনীতির মেরুদণ্ডই হল পর্যটন। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাজেটে পর্যটন শিল্পে বিকাশের লক্ষ্যে কোনও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেই বলেই অভিযোগ পুরুলিয়ার শিল্পমহলের। তাই শুক্রবার সংসদে পেশ হওয়া বাজেটকে ‘আশাভঙ্গে’র বাজেট বলেই মনে করছেন পর্যটনশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের একাংশ।

পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার পর্যটনকেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো আগের থেকে উন্নত হওয়ায় গত কয়েকবছরে দুই জেলায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে পর্যটকের সংখ্যা। এই প্রেক্ষিতে পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটে ‘চমকে’র প্রত্যাশায় ছিলেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। কিন্তু আশাভঙ্গ হয়েছে তাঁদের।

হোটেল শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রোহিত লাটার আক্ষেপ, ‘‘পর্যটনের জন্য কোন আলাদা বরাদ্দই নেই বাজেটে।’’ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে গত কয়েক বছরে কিছুটা এগিয়েছে রাঢ়বঙ্গের এই জেলা। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছোট ব্যবসায়ী এবং উদ্যোগপতিরা মনে করেন, পিছিয়ে পড়া জেলাগুলিতে যারা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বিনিয়োগ করতে চান, তাঁদের জন্য বিশেষ ছাড় দিলে ভাল হতো। বাঁকুড়া চেম্বার অব কমার্সের (শিল্প বিষয়ক) সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সরকার বলেন, “ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্পের জন্য উৎসাহজনক কিছু পেলাম না বাজেটে।”

কেন্দ্রীয় বাজেটকে ভোটের বাজেট বলেই মনে করছেন ‘পুরুলিয়া উদ্যোগ বিকাশ’ মঞ্চের সদস্য ভৈরবদাস মল। তাঁর কথায়, ‘‘মধ্যবিত্ত এবং কৃষকই বাজেটের মূল লক্ষ্য। এক কথায় এই বাজেট হল ভোটের বাজেট।’’

অন্যদিকে, বাঁকুড়ার শিল্পমহলের একাংশ মনে করছেন, ব্যবসায়ীদের বহু দাবিই বাজেটে উপেক্ষিত থেকে গিয়েছে। মধ্যবিত্ত বেতনভোগী এবং কৃষকদের উপর কেন্দ্র যতটা গুরুত্ব দিয়েছে, তার ছিটেফোঁটাও দেওয়া হয়নি ব্যবসায়ীদের। পর্যটন ব্যবসার উন্নয়নে নির্দিষ্ট কোনও দিশা না থাকলেও জেলার হোটেল ব্যবসায়ীদের মত, বাজেটে মধ্যবিত্তের উপর আয়করের বোঝা কমায় রাজ্যের পর্যটনে তার ইতিবাচক ফল পড়বে।

হোটেল ব্যবসায়ী প্রবীর দত্তের কথায়, ‘‘আয়করে অনেকটা ছাড় দেওয়া হয়েছে বাজেটে। ফলে পর্যটকদের হাতে বাড়তি কিছু অর্থ থাকবে। যার একাংশ পর্যটনে খরচ হবে। উপকৃত হবে পর্যটন শিল্প।’’

Budget 2019 Union Budget
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy