Advertisement
E-Paper

সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, সিসিটিভি, আলো বসানোর খরচ রাজ্যকে দিতে বলল আদালত

সন্দেশখালির ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে বুধবার থেকেই তদন্ত শুরু করতে বলা হয়েছে। নতুন ইমেল আইডি চালু করে এই সংক্রান্ত অভিযোগ জমা নেবে সিবিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৫০
কলকাতা হাই কোর্ট।

কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

সন্দেশখালির ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে বুধবার থেকেই তদন্ত শুরু করতে বলা হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, নতুন ইমেল আইডি চালু করে সন্দেশখালির ঘটনা সংক্রান্ত অভিযোগ জমা নিতে হবে সিবিআইকে। আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলবে। পাশাপাশি, সন্দেশখালির স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে রাস্তায় সিসি ক্যামেরা, এলইডি আলো বসাতে বলেছে আদালত। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যকে তার খরচ দিতে হবে।

সন্দেশখালি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মোট পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। একত্রে সেই মামলাগুলি শুনছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই মামলাতেই মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হল। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত।

ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ন্যায়বিচারের স্বার্থে সন্দেশখালির ঘটনায় যে নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন, সে বিষয়ে আদালতের কোনও সন্দেহ নেই। মহিলাদের উপর অত্যাচার, সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে তফসিলি জনজাতির জমি কেড়ে নেওয়া-সহ বিভিন্ন অভিযোগ বিবেচনা করে তাই আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সিবিআই সন্দেশখালির মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করবে। আদালতের নির্দেশ, মামলার সব পক্ষকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সিবিআইয়ের কাছে সব অভিযোগ জমা দিতে হবে। সিবিআইয়ের চালু করা ইমেল আইডির মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে হবে। অভিযোগকারীদের গোপনীয়তা বজায় রাখতে এই ব্যবস্থা। সন্দেশখালি এলাকায় ওই ইমেল আইডির প্রচার করতে হবে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসককে। স্থানীয় ভাষায় সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক কাগজেও ওই বিষয়ে মানুষকে অবহিত করতে হবে বলে জানিয়েছে হাই কোর্ট।

আগামী ২ মে হাই কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। আদালত জানিয়েছে, স্থানীয়দের জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগের যথাযথ অনুসন্ধান এবং তদন্ত করে পরবর্তী শুনানির দিন সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। প্রয়োজনে যে কোনও ব্যক্তি, সংস্থা, সরকারি কর্তৃপক্ষ, পুলিশ কর্তৃপক্ষ, এনজিও-সহ এ বিষয়ে আগ্রহী যে কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে তথ্য এবং মতামত নিতে পারবে সিবিআই।

আদালত জানিয়েছে, সন্দেশখালিতে জমি হস্তান্তর, চাষের জমিকে ভেড়িতে রূপান্তরিত করার অভিযোগের তদন্ত করে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে সিবিআইকে। তদন্ত প্রক্রিয়ার উপর আদালত নজরদারি চালাবে। সিবিআইয়ের রিপোর্ট দেখে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, সন্দেশখালি মামলায় হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে মাথায় রেখে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছিল। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে আদালত মনে করছে, কোর্টের নজরদারিতেই তদন্ত করবে সিবিআই।

সন্দেশখালির স্পর্শকাতর এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসাতে বলেছে আদালত। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, স্থানীয় প্রশাসনকে একসঙ্গে মিলে স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করতে হবে। রাস্তায় বসাতে হবে এলইডি আলো। সিসিটিভি এবং এলইডি আলোর খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। আদালতের নির্দেশ, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যকে এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় অনুমোদন এবং খরচ দিতে হবে।

এ ছাড়া আদালত জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী নির্যাতিত, ক্ষতিগ্রস্ত এবং সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিতে পারবে সিবিআই।

Sandeshkhali Incident sandeshkhali Calcutta High Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy