Advertisement
০২ মে ২০২৪
Calcutta High Court

পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ধমক কেন্দ্র-রাজ্যকে

বৃহস্পতিবার রাতেও দার্জিলিংয়ের বেশ কয়েক জায়গায় আগুন লাগানোর খবর পাওয়া গিয়েছে। কার্শিয়ঙের আরপিএফ অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি। অভিযোগ উঠেছে সেই মোর্চা সমর্থকদের বিরুদ্ধেই।

জ্বলছে পুলিশের গাড়ি।—ফাইল চিত্র।

জ্বলছে পুলিশের গাড়ি।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি ও কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৭ ১৬:৩৮
Share: Save:

সিকিমের আবেদনের ভিত্তিতে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ককে বাধামুক্ত করতে শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারকে চার কোম্পানি আধাসেনা পাঠানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি দীপক মিশ্র-সহ তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্র-রাজ্য উভয়কেই দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়ং, শিলিগুড়ি-সহ বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে চলা অস্থিরতা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই দিনে কিন্তু পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে হস্তক্ষেপ করেছে কলকাতা হাইকোর্টও। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাহাড়ে চার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে এবং বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ। সরকার যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারে তা হলে আদালতকেই সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে হতে পারে। এমন মন্তব্যও এ দিন করেছে হাইকোর্ট।

আদালতের সুনির্দিষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন গত ২৮ দিন ধরে পাহাড়ে বন্‌ধ চলছে? গত মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্ট এ বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছ থেকে জবাব চেয়েছিল। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, দু’পক্ষকেই তা হলফনামা দিয়ে জানাতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে সে দিন কলকাতা হাইকোর্ট অত্যন্ত অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে কোনও পক্ষেরই ভ্রূক্ষেপ নেই বলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল। কিন্তু হাইকোর্টের উষ্মা সত্ত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি প্রশাসন। মোর্চাও তাদের হিংসাত্মক আন্দোলন থামায়নি।

আরও পড়ুন: অশান্ত পাহাড়ে আগুন, ভাঙচুর চললেও আপাতত স্থগিত আমরণ অনশন

বৃহস্পতিবার রাতেও দার্জিলিংয়ের বেশ কয়েক জায়গায় আগুন লাগানোর খবর পাওয়া গিয়েছে। কার্শিয়ঙের আরপিএফ অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি। অভিযোগ উঠেছে সেই মোর্চা সমর্থকদের বিরুদ্ধেই।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন জানিয়েছে, পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে কেন্দ্র-রাজ্য ব্যর্থ হলে আদালতকেই সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE