কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। ফাইল চিত্র
বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। মনোনয়ন জমা দিতে অসুবিধা হচ্ছে বলে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, যে প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি, তাঁদের পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কেন্দ্রে। কিন্তু তার পরও বসিরহাটের চারটি ব্লকের বিজেপির প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার এই অভিযোগে আবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। বিচারপতি অমৃতা সিন্হার বেঞ্চে বিজেপির আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী বলেন, হাই কোর্টের নির্দেশে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েও মনোনয়ন দেওয়া যায়নি। তাই মনোনয়নের দিন বাড়িয়ে সময় দেওয়া হোক। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রার্থীদের মনোনয়নের দিন বাড়ানো নিয়ে কমিশনের অবস্থান জানতে চান বিচারপতি। পরে দুপুরে শুনানির পর বিচারপতি নির্দেশ দেন, এই প্রার্থীরা শুক্রবার বিকেল চারটের মধ্যে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন। তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে বসিরহাট জেলা পুলিশের সুপার।
বসিরহাটের ৪টি ব্লক— সন্দেশখালি-১ এবং ২, মিনাখা, ন্যাজাট এবং হাড়োয়ার ৬০ জন প্রার্থীর জন্য মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
আদালতের নির্দেশ, ‘‘সময় নেই! তাই নির্দেশনামার জন্য অপেক্ষা করার দরকার নেই। আদালতে শুনানির ভার্চুয়াল লিঙ্ক রাজ্য নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবেন। এই লিঙ্কে নির্দেশ শুনেই পদক্ষেপ করতে হবে।’’
বসিরহাট মহকুমাশাসকের দফতরের বিপরীতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে প্রার্থীরা উপস্থিত। তাঁরা শুধু রাস্তা টপকে এ পারে আসবেন। পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে প্রার্থীদের মহকুমা শাসকের দফতরে ঢোকাবেন, নির্দেশ বিচারপতির।
বিচারপতির নির্দেশ, বিকেল ৪টের মধ্যে যাঁরা উপস্থিত হবেন, তাঁদের সবার মনোনয়নপত্র মহকুমাশাসককে গ্রহণ করতে হবে।
যাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বাধা পেয়েছেন, তাঁদের পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে আবার নিয়ে যাওয়া হবে। সব প্রার্থীকে মনোনয়নের ব্যবস্থা করতে হবে বলে বসিরহাট জেলা পুলিশের সুপারকে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা।
বসিরহাটের চারটি ব্লকের যে সব বিজেপি প্রার্থী বৃহস্পতিবার পুলিশ নিয়ে গিয়েও মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি, শুক্রবার তাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন, নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার বিজেপি এই ব্যাপারে হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্হার বেঞ্চে আবেদন করেছিল। অভিযোগ ছিল, হাই কোর্টের নির্দেশানুসারে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েও মনোনয়ন দেওয়া যায়নি। তাই মনোনয়নের দিন বাড়িয়ে সময় দেওয়া হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy