রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের ডিরেক্টরকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের সুপারিশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ওই দফতরের সচিবের কাছে ওই সুপারিশ করেছেন।
নদিয়ার দোগাছি হাইমাদ্রাসার দুই শিক্ষক আনিসুর রহমান ও আব্দুল মোমিন মণ্ডল স্থায়ী চাকরির দাবিতে মামলা করেন। তাঁদের আইনজীবী গোলাম মোস্তাফা জানান, শুনানিতে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর যুক্তি দেখায়, মাদ্রাসা পরিদর্শনের সময় ওই দুই শিক্ষক হাজির ছিলেন না। তাঁরা স্থায়ী চাকরি চেয়ে আবেদনও করেননি।
বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি কৌঁসুলি তপন মুখোপাধ্যায়কে মে-র গোড়ায় নির্দেশ দেন, ডিরেক্টর আবিদ হোসেন বা তাঁর অধীন কোনও অফিসারকে ১৫ মে আদালতে হাজির হয়ে তাঁদের যুক্তির সমর্থনে নথি পেশ করতে হবে। ওই দিন
ডিরেক্টর বা তাঁর প্রতিনিধি আদালতে হাজির হননি। তার পরে আরও দু’টি দিন দেয় আদালত। কিন্তু ডিরেক্টর হাজির হননি। এ দিন তপনবাবু জানান, ডিরেক্টরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি আদালতের নির্দেশ নিয়ে বক্তব্য জানাননি। যোগাযোগও করেননি। বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘‘সরকারি অফিসারদের কাছে কি সরকারি কৌঁসুলিদের কি এই ভাবে বক্তব্য ভিক্ষা করতে হবে!’’ তাঁর নির্দেশ,
ওই দুই শিক্ষকের স্থায়ী চাকরির বিষয়টি ডিরেক্টর বাদে অন্য কোনও অফিসার যাতে বিবেচনা করেন, তার ব্যবস্থা করতে হবে দফতরের সচিবকে।