সংগীত ভবনের নয়া নোটিস ঘিরে বিতর্ক বিশ্বভারতীতে। নিজস্ব চিত্র।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বাইরে কোনও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করার জন্য নোটিস জারি করলেন বিশ্বভারতী সংগীত ভবন কর্তৃপক্ষ। আর তা ঘিরে দানা বাঁধল নতুন বিতর্ক। শিক্ষকদের একাংশের পাশাপাশি শান্তিনিকেতনের প্রাক্তন ছাত্র- ছাত্রী এবং আশ্রমিকদের অধিকাংশই এ বিষয়ে সংগীত ভবনের অবস্থানের বিরোধিতা করেছেন।
বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, গত ৩০ মে নোটিস জারি করেছেন সংগীত ভবনের অধ্যক্ষ স্বপন ঘোষ। নোটিসে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সংগীত ভবনের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ব্যাক্তিগত বা অন্য কোনও সংস্থা, প্রতিষ্ঠান আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না। এমনকি, অনলাইন বা সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও কোনও অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া যাবে না।
সংগীত ভবনের এক অধ্যাপক সোমবার বলেন, ‘‘অধ্যক্ষ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, সংগীত ভবনের শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজেদের কলা কৌশল, বিকাশের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হতেই পারেন। এর ফলে বিশ্বভারতীর সংগীত ভবনের নামের বিকাশ ঘটে। এমনকী, ভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশিকা বাধা সৃষ্টি করেছে ।
সঙ্গীত ভবনের প্রাক্তন অধ্যাপক কুমুদরঞ্জন পাল বলেন, ‘‘শিল্পের গলা টিপে হত্যা করার চেষ্টা হয়েছে এই নোটিসের মাধ্যমে। কখনো একজন শিক্ষক তাঁর প্রতিভা অন্যত্র ছড়িয়ে দিলে আপত্তির কিছু থাকতে পারে না।’’ প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, ‘‘এ সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ এবং সঙ্গীত ভবনের। এ বিষয়ে কিছু মন্তব্য করতে পারব না। তবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কলা বিভাগের প্রতিভাকে ছড়িয়ে দেওয়া লক্ষ্য ছিল রবীন্দ্র চিন্তায়। সেই ভাবনাতে আঘাত খুবই দুঃখজনক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy