অতিরিক্ত শূন্যপদ বা সুপারনিউমেরারি পদে নিয়োগের জন্যও ঘুষ দিতে হয়েছে। মঙ্গলবার হাই কোর্টে এমনটাই দাবি করল সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থাটির দাবি, ওই পদগুলিতে নিয়োগর জন্য টাকা লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, আদালতের অনুমতি পেলে তারা এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করবে।
মঙ্গলবার উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ মামলার শুনানিতে সিবিআইের আইনজীবী দাবি করেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে, অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির পর চাকরি পেতে ঘুষ দিয়েছেন অনেক চাকরিপ্রার্থী। তাই ওই বিষয়ে তদন্তের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সিবিআইয়ের কাছে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানতে চান কোন বিষয়ে, কতগুলি পদে নিয়োগ হয়েছে? তদন্তকারী সংস্থার তরফে আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী জানান, এখনই ওই বিষয়ে নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। কারণ, ওই বিষয়ে তদন্তের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তার জন্য নতুন এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে হবে।
হাই কোর্টে সিবিআই এ-ও জানায় যে, এফআইআর দায়েরের অনুমতি রাজ্য দেয়নি। আদালতের অনুমতি পেলে তদন্ত শুরু করা হবে। তারা আরও জানায়, নিয়োগ দুর্নীতির মামলা একটি অপরটির সঙ্গে যুক্ত। আদালতের নির্দেশে অন্য দুর্নীতির তদন্ত সিবিআই করেছে। এ ক্ষেত্রেও আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। বিচারপতি বসু জানান, এই বিষয়ে বিস্তারিত শুনানির দরকার রয়েছে। আগামী ৪ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।