Advertisement
E-Paper

আইকোর-বৈঠকে শাসক দলের দুই নেতা, সিডি পেল সিবিআই

সিবিআই অফিসারেরা জানাচ্ছেন, ২০১১ সালের অগস্টে আইকোর সংস্থার একটি বৈঠকে তৎকালীন জোট সরকারের দুই মন্ত্রী এজেন্ট ও আমানতকারীদের উদ্দেশে বিনিয়োগ করার জন্য আবেদন জানান।

শুভাশিস ঘটক

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৯ ০২:৩২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদার আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় যে-সব অভিযোগে প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, লগ্নি সংস্থা আইকোরের তছরুপের তদন্তে নেমে শাসক দলের অন্য দুই প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধেও তারা সেই অভিযোগ পেয়েছে বলে সিবিআইয়ের দাবি। নিছক অভিযোগ নয়, সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, আইকোরের সঙ্গে ওই দুই নেতার সরাসরি যোগাযোগের হদিসও মিলেছে। এমনকি আইকোর সংস্থার কয়েক বছর আগেকার একটি বৈঠকের সিডি মাসখানেক আগে তদন্তকারীদের হাতে এসেছে।

সিবিআই অফিসারেরা জানাচ্ছেন, ২০১১ সালের অগস্টে আইকোর সংস্থার একটি বৈঠকে তৎকালীন জোট সরকারের দুই মন্ত্রী এজেন্ট ও আমানতকারীদের উদ্দেশে বিনিয়োগ করার জন্য আবেদন জানান। ‘আইকোর একটি বিশ্বস্ত অর্থ লগ্নি সংস্থা এবং সেখানে আমানতকারীরা নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করতে পারেন’— এই মর্মে ওই দুই মন্ত্রী আবেদন করেছিলেন বলে সিবিআইয়ের দাবি। সেই বক্তব্যই নাকি সিবিআইয়ের হাতে সিডি আকারে এসে পৌঁছেছে। তদন্তকারীদের দাবি, আইকোর সংস্থার সঙ্গে ওই দুই প্রভাবশালী নেতার যে আর্থিক লেনদেনও হয়েছিল, তার কিছু তথ্যপ্রমাণ তাঁদের হাতে এসেছে।

সিবিআই-কর্তারা জানান, সারদা মামলায় মদনবাবুকে যে-সব অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তার মধ্যে একটি হল, সারদায় বিনিয়োগ করার জন্য তাঁর আবেদন। আইকোরের ক্ষেত্রেও ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে প্রায় একই অভিযোগ উঠেছে। আছে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও। মদনবাবুর বিরুদ্ধেও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ছিল।

আইকোর অর্থলগ্নি সংস্থার সেই বৈঠকে উপস্থিত এক মন্ত্রী এখন রাজ্যসভার সদস্য। অন্য নেতা দক্ষিণ শহরতলির বাসিন্দা, বিধায়ক তথা মন্ত্রী। তিনি শাসক দলের গুরুত্বপূর্ণ পদেও রয়েছেন বলে জানান সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। তাঁদের কথায়, আইকোর সংস্থার ডিরেক্টর অনুকূল মাইতি এবং তাঁর স্ত্রী কণিকাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা জেল হেফাজতে রয়েছেন। আইকোর মামলায় ওই দুই কর্তা-সহ এ-পর্যন্ত মোট সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সিবিআইয়ের খবর।

তদন্তকারীরা জানান, নতুন করে সিডি আসার পরে জেলে গিয়ে ওই দুই নেতার বিষয়ে আইকোর-কর্তাদের জেরা করা হতে পারে। ওই দুই নেতার সঙ্গে আইকোরের আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না, তার আদালতগ্রাহ্য তথ্যপ্রমাণের প্রয়োজন আছে। তা প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে আইকোর-কর্তাদের বয়ান সংগ্রহ করা অত্যন্ত জরুরি। তার পরেই ওই দুই নেতাকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

Chit Fund Saradha ICore CBI
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy