—ফাইল চিত্র।
তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়ার পরেও অসমের জনপ্রিয় গায়ক সদানন্দ গগৈ সারদা গোষ্ঠীর টাকা অন্যত্র সরাতে সাহায্য করেছিলেন বলে কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ জানাল সিবিআই। সোমবার সারদা-কাণ্ডে ধৃত সদানন্দের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই-য়ের কৌঁসুলি সেই টাকা সরানোর তথ্য আদালতে পেশও করেন। যার জেরে বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ও বিচারপতি আশা অরোরার ডিভিশন বেঞ্চ অসমের ওই গায়কের জামিন নাকচ করে।
সদানন্দের কৌঁসুলি আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় এ দিন জামিনের আবেদন জানিয়ে বলেন, সারদা-কাণ্ডে অভিযুক্ত তথা রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি রজত মজুমদার সারদা গোষ্ঠীতে চাকরি করতেন। তাঁর মক্কেলও ওই গোষ্ঠীতে চাকরি করতেন। তিনিও রজতবাবুর মতো পারিশ্রমিক পেতেন। কলকাতা হাইকোর্ট রজতবাবুর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে। একই কারণে সদানন্দেরও জামিন পাওয়া উচিত। গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় সদানন্দকে। ৩১১ দিন তিনি জেলে বন্দি। তাঁর কাছ থেকে নতুন কোনও তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি সিবিআই। এমনকী, জেলে থাকা অবস্থায় মাত্র একবারই তাঁকে জেরা করা হয়েছে। অসমে ঢুকতে না পারা-সহ যে কোনও শর্তে ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর মক্কেলের জামিন মঞ্জুর করুক।
সিবিআই-য়ের আইনজীবীকে রাঘবচারিলু আদালতে জানান, অসমে সারদা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত শেষের দিকে। অসমের রাজনৈতিক নেতৃত্ব, পুলিশ-প্রশাসনে সদানন্দের যথেষ্ঠ প্রভাব রয়েছে। এই অবস্থায় সদানন্দের মতো জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী ব্যক্তিকে জামিন দিলে তদন্তের ক্ষতি হতে পারে।
এ দিন আলিপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ সারদা-কাণ্ডে ধৃত সন্ধির অগ্রবালের পরিবারের এক জনকে তাঁর সঙ্গে সর্বক্ষণের জন্য নার্সিংহোমে থাকতে নির্দেশ দেন। সন্ধিরের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী জানান, তাঁর মক্কেলের পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন জনানো হয়েছিল, তাঁকে বাড়ির খাবার খাওয়ার অনুমতি দিতে। সিবিআই-য়ের আইনজীবী আপত্তি না করায় আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy