কোর্টে হাজিরার নোটিস বাড়ির দরজায় সেঁটে দিয়ে এসেছে সিবিআই। তা সত্ত্বেও মদন তামাঙ্গের হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ, তাঁর স্ত্রী আশা গুরুঙ্গ এবং দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরিদের আজ, সোমবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে হাজির করানো যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সিবিআই সূত্রের খবর, রবিবার সকালে দার্জিলিঙে গুরুঙ্গ, রোশন, বিনয় তামাঙ্গ-সহ একাধিক নেতার বাড়িতে গিয়েও তাঁদের দেখা পাননি অফিসারেরা। তখন বাড়ির অন্য লোকেদের হাতে নোটিস দেওয়ার পাশাপাশি বাড়ির দরজাতেও তা সেঁটে দেওয়া হয়েছে। নোটিসে অভিযুক্তদের হাইকোর্টের নির্দেশ মতো আজ সকাল ১০টার মধ্যে নগর দায়রা আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। দিনভর মোর্চার কোনও নেতাই এ নিয়ে মন্তব্য করেননি। গুরুঙ্গ-রোশনদের বাড়ি থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা দলীয় কাজে বাইরে আছেন।
সিবিআই সূত্রের খবর, এ অবস্থায় সমস্ত অভিযুক্তকে হাজির করাতে আদালতের কাছে সময় চাওয়া হতে পারে। রাজ্যের ধারণা, অভিযুক্তদের অনেকে নেপালে লুকিয়ে রয়েছেন। এবং তাঁদের খোঁজার ক্ষেত্রে সিবিআই যথেষ্ট উদ্যোগী নয় বলেও মনে করে রাজ্য। একাধিক তৃণমূল নেতার অভিযোগ, অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগ নেতা তামাঙ্গের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা সারদা-নারদের মতো তৎপরতা দেখাচ্ছেন না। তাঁদের দাবি, তামাঙ্গ হত্যা মামলায় ১৭ অগস্টের মধ্যে চার্জশিট জমা দিতে বলেছে হাইকোর্ট। তার পরেও মোর্চার সঙ্গে বিজেপির রাজনৈতিক সখ্যের কারণে তদন্ত ঢিলেঢালা ভাবে চলছে। ইতিমধ্যে মোর্চার বেশ কিছু নেতা দিল্লি গিয়ে যোগাযোগ করেছেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার সঙ্গে। সুরেন্দ্র জানান, গোর্খাল্যান্ডের সমর্থনে এবং আন্দোলনের ‘শহিদ’দের স্মৃতিতে যজ্ঞ চলবে যন্তর-মন্তরে। আজও এই মোর্চা নেতাদের অনেকেরই দিল্লিতে থাকার সম্ভাবনা।