Advertisement
২০ মার্চ ২০২৩
State News

আগামী সপ্তাহে সিবিআইয়ের মুখোমুখি রাজীব কুমার? দু’দিনে মিলল ৮ ট্রাঙ্ক নথি

চিটফান্ড-কাণ্ডে গঠিত রাজ্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর তদন্তে কোন কোন প্রভাবশালীর নাম উঠে এসেছিল?

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৯ ১৮:৪৩
Share: Save:

ফের সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে পারেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। এবং সেটা আগামী সপ্তাহেই।

Advertisement

চিটফান্ড-কাণ্ডে গঠিত রাজ্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর তদন্তে কোন কোন প্রভাবশালীর নাম উঠে এসেছিল? তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল? এ সব তথ্য জানতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সে কারণেই রাজীব কুমারকে ফের একবার জেরা করতে চায় সিবিআই

২০১৩ সালে চিটফান্ড-কাণ্ড সামনে আসার পর, প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। সেই সময় বিধাননগরের কমিশনার ছিলেন রাজীব কুমার। পরে যখন রাজ্য সিট তৈরি করে, ওই দলেও রাজীবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তাই তাঁকে জেরা করে সারদা, রোজভ্যালি-সহ অন্যান্য চিটফান্ডের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য রাজীব দিতে পারবেন বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুন: অশান্ত কাঁচড়াপাড়া, জয় শ্রীরাম ধ্বনির মধ্যেই পুলিশি পাহারায় এলাকা ছাড়লেন জ্যোতিপ্রিয়

Advertisement

বার বার তলব করার পরেও রাজীব সিবিআইয়ের মুখোমুখি হননি। পরে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। আদালতের নির্দেশে শিলংয়ে রাজীবকে জেরা করে সিবিআই। কিন্তু জেরায় সব তথ্য উঠে আসেনি বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তাই ফের তাঁকে নোটিস দিয়ে তলব করে সিবিআই।

কিন্তু তিনি হাজিরা না দিয়ে সিবিআই-এর নোটিসের বিরোধিতা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। শেষ পর্যন্ত সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়া এড়াতে পারেননি। আদালত নির্দেশ দেয়, সিবিআই ডাকলেই হাজিরা দিতে হবে। কলকাতা থেকে কোথাও যেতে পারবেন না। এমনকি সিবিআইয়ের কাছে তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা প্রতি দিন রাজীব কুমারের বাড়িতে গিয়ে হাজিরার খাতায় তাঁর সই নেবেন। অবশ্য সুপ্রিম কোর্টে গ্রেফতারির যে রক্ষাকবচ উঠে গিয়েছিল, হাইকোর্ট আপাতত ১০ জুলাই পর্যন্ত তা ফিরিয়ে দিয়েছে। আদালতের নির্দেশ মতো শনিবার সিবিআইয়ের দুই অফিসার রাজীব কুমারের বাসভবন ৩৪ পার্ক স্ট্রিটে পৌঁছন। হাজিরাও নেন।

আরও পড়ুন: এত দায়িত্ব দিলাম, ফেল করলি! মমতার তোপের মুখে অরূপ

অন্য দিকে, এ দিন আরও চার ট্রাঙ্ক ভর্তি সারদার নথি জমা পড়়ল সিবিআই দফতরে। এ নিয়ে ৪৮ ঘণ্টায় মোট ৮ ট্রাঙ্ক বোঝাই নথি এল সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। এত নথি কোথায় ছিল? কেন এত দিন তা দেওয়া হয়নি সিবিআইকে? এ সব প্রশ্নের জবাবে বিধাননগর পুলিশের দাবি, এই নথি নাকি চাওয়াই হয়নি তাঁদের কাছে। যে হেতু সিবিআই অফিসারেরা এখন নথিপত্র চেয়েছেন, তাই এগুলি দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি ১৫ ঘণ্টা জেরা করা হয় বিধাননগরের প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান অর্ণব ঘোষকে। নানা মহলে গুঞ্জন, এত দিন যে নথি মিলছিল না অর্ণবকে জেরার পরেই তা বেরিয়ে এল।

(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.