রেলের চাকরির পরীক্ষায় ভুল উত্তরের (ভুল অ্যানসার কি) অভিযোগে বিশেষজ্ঞ কমিটি নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এ বার কলকাতার কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ট্রাইবুনালের (ক্যাট) নির্দেশ, ওই কমিটির রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে এবং তার ভিত্তিতে নতুন ভাবে তৈরি করতে হবে নিয়োগ তালিকা। তাতে মামলাকারীরা যোগ্য বলে বিবেচিত হলে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রাপ্য সুবিধা-সহ চাকরি দিতে হবে।কমিটির রিপোর্টও প্রকাশ করতে হবে রেলকে।
ক্যাটের বিচারবিভাগীয় সদস্য উর্মিতা দত্ত (সেন) এবং প্রশাসনিক সদস্য অনিন্দ্য মজুমদারের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ভুল প্রশ্নের ভিত্তিতে অনেকে চাকরি পেয়েছেন বলে রেল স্বীকার করেছে। এ বার বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে তাঁদের পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। তাঁরা কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ঠিক উত্তর দিলে চাকরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
ক্যাটের এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবীদের একাংশের পর্যবেক্ষণ, এই পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটার বিধান ছিল। তাই ভুল উত্তর দিয়ে যাঁরা নম্বর পেয়েছিলেন তাঁদের নম্বর বাদ যাবে এবং সে ক্ষেত্রে প্যানেলে অনেক ওলটপালট হতে পারে।
ট্রাইবুনালের খবর, ২০১২ সালে পূর্ব রেলে গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। বিপুল বিশ্বাস এবং প্রতাপ বিশ্বাস-সহ মামলাকারীদের অভিযোগ, তাঁরা লিখিত পরীক্ষা এবং শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন। সব নথিপত্র যাচাইয়ের পরেও মেডিক্যাল টেস্টে ডাক পাননি, অথচ কিছু অকৃতকার্য পরীক্ষার্থী ডাক পান। এর পরে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে তাঁরা উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) হাতে পান এবং তাতে দেখা যায়, রেল কর্তৃপক্ষ কয়েকটি প্রশ্নের ভুল উত্তরে নম্বর দিয়েছেন। সেই ভুল প্রশ্নের মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায় এবং শীর্ষ আদালত বিশেষজ্ঞ কমিটি নিয়োগ করে উত্তর যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিল।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)