ফাইল চিত্র।
রাজ্যে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের বিষয়ে রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের সর্তক করল কেন্দ্র। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) এ দেশে নাশকতার কাজে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করার চেষ্টা করতে পারে বলে আশঙ্কা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্তাদের।
বুধবার রাজ্যের পুলিশ সুপার ও কমিশনারদের সঙ্গে নবান্ন থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন পুলিশের শীর্ষকর্তারা। বৈঠকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সেন্ট্রাল আইবি) যুগ্ম অধিকর্তা মনোজ লালও হাজির ছিলেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নাশকতার কাজে ব্যবহার করতে পারে আইএসআই। তাই রোহিঙ্গাদের গতিবিধির উপর কড়া নজরদারি প্রয়োজন।
রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় সাড়ে তিনশো রোহিঙ্গা পরিবার কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তত্ত্বাবধানে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের হাড়দহে শিবির করে ছিল। তাদের কাছে রাষ্ট্রপুঞ্জের দেওয়া বিশেষ পরিচয়পত্রও ছিল। কিন্তু ওই পরিচয়পত্রের মেয়াদ ছিল ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। তবে এখন ওই শিবিরে আর কোনও রোহিঙ্গা পরিবার নেই বলেই দাবি বারুইপুর জেলা পুলিশ কর্তাদের। ওই শিবিরের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হোসেন গাজি বলেন, ‘‘ক’মাস আগে পুলিশ খোঁজখবর শুরু করে। তার পর সব রোহিঙ্গা পরিবার শিবির ছেড়ে চলে যায়। কয়েক জন বারুইপুর ও ক্যানিং এলাকায় বসবাস করছে বলে শুনেছি। কিন্তু আমার কাছে তাঁদের ঠিকানা নেই। আমরা শিবিরের কাঠামো ভাঙার কাজ শুরু করেছি।’’
তবে প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের দাবি, এক সময় এ রাজ্যে থাকা সব রোহিঙ্গাই অন্যত্র চলে গিয়েছেন। তাই যতক্ষণ না পুলিশ বা আইবি নির্দিষ্ট তথ্য দিচ্ছে, ততক্ষণ রাজ্যের কিছু করণীয় নেই। রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘বারুইপুর জেলা পুলিশের কর্তাদের কাছ থেকে প্রাথমিক রিপোর্ট চাওয়া হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সে ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশকেও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে ওই সব এলাকায় নজরদারির জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy