Advertisement
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

নবান্নের কথাতেই পুলিশ পাবে কেন্দ্র

আয়কর বিভাগ তো বটেই, কেন্দ্রীয় কোনও সংস্থা রাজ্যের কোথাও কোনও অভিযানের জন্য পুলিশি সাহায্য চাইলে সঙ্গে সঙ্গে তা নবান্নের নজরে আনতে হবে। পুলিশ সূত্রের খবর, বিষয়টি মৌখিক ভাবে রাজ্য পুলিশের সদর দফতর থেকে সব জেলার পুলিশ কর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কিশোর সাহা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:১০
Share: Save:

আয়কর বিভাগ তো বটেই, কেন্দ্রীয় কোনও সংস্থা রাজ্যের কোথাও কোনও অভিযানের জন্য পুলিশি সাহায্য চাইলে সঙ্গে সঙ্গে তা নবান্নের নজরে আনতে হবে। পুলিশ সূত্রের খবর, বিষয়টি মৌখিক ভাবে রাজ্য পুলিশের সদর দফতর থেকে সব জেলার পুলিশ কর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। থানাগুলিতেও পৌঁছে গিয়েছে সেই বার্তা ।

পুলিশ কর্তাদের কয়েক জন ফোন করে থানা গুলিকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, কোথাও কোনও অভিযানের জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থা, বাহিনী চাইলে জেলা পুলিশের ক্ষেত্রে এসপি ও কমিশনারেট হলে পুলিশ কমিশনারের অনুমতি নিতে হবে। সিপি, এসপিদের কাছে পরিষ্কার ভাবে রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়ে দিয়েছেন, এ ধরনের সাহায্য চাওয়া হলে তা তৎক্ষণাৎ তাঁদের নজরে আনতে হবে।

একাধিক ওসি জানিয়েছেন, অনেক সময়ে স্থানীয় স্তরে সম্পর্কের খাতিরে ফোন করলেই কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ কিংবা শুল্ক দফতরকে সশস্ত্র পুলিশ দিয়ে সহযোগিতা করা হতো। এসপি পদমর্যাদার কয়েকজন অফিসার জানান, গোটা বিষয়টি যাতে রাজ্য পুলিশের সদর দফতরের অনুমতি সাপেক্ষে হয় সেটা নিশ্চিত করতে সকলকে মৌখিক ভাবে সতর্ক করা হয়েছে।

এই বার্তা পৌঁছে গিয়েছে আয়কর বিভাগ, কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের মতো সব সংস্থার কাছেই। কয়েক জন কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক জানান, শিলিগুড়ির নকশালবাড়ি, কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা কিংবা বনগাঁর পেট্রাপোলের মতো সীমান্ত এলাকায় অনেক সময়ে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ আচমকা অভিযান চালায়। কলকাতা থেকে অনুমতি আনতে বেশি সময় লাগলে অভিযানে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

আচমকা রাজ্যের এমন সিদ্ধান্তের কারণ নিয়ে চর্চা চলছে পুলিশ মহলেও। উঠে আসছে নানা মত। নোট বাতিল ঘিরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দাগছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইস্তফাও দাবি করেছেন। আবার ঘটনাচক্রে, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিও অতি মাত্রায় তৎপর হয়ে রাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছে।
দ্বিতীয়ত, রাজ্য প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখে স্থানীয় পুলিশকে সামিল করে তল্লাশির অভিযোগ উঠেছে আয়কর বিভাগের বিরুদ্ধে। কয়েকটি ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে আয়কর দফতরের তল্লাশিতে স্থানীয় থানাও সশস্ত্র পুলিশ পাঠিয়ে সহযোগিতা করেছে। যা কি না টেলিভিশন দেখে জানতে পেরেছেন নবান্নের কর্তারা।

একাধিক থানার ওসি-আইসি একান্তে জানান, এমন মৌখিক বার্তা জারি হওয়ায় তাঁদেরও সুবিধা হয়েছে। কারণ, এত দিন ওসি-আইসিদের অনেককেই কেন্দ্রীয় নানা সংস্থার অনুরোধে সাড়া দিয়ে বিবিধ অভিযানে সাহায্য করতে হতো।

অন্য বিষয়গুলি:

Central Police force
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy