অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশুর মৃত্যু। ভাইরাস মোকাবিলায় একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রতীকী ছবি।
অ্যাডিনোভাইরাস ঘিরে উদ্বেগ বাড়ল। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশুর মৃত্যু হল কলকাতায়। গত শুক্রবার পার্ক সার্কাসের হাসপাতালে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আড়াই বছরের এক শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে। জ্বর এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে সপ্তাহখানেক ধরে অসুস্থ ছিল শিশুটি।
এর আগে, ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে লেকটাউনে ৫ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। কোভিডের পাশাপাশি অ্যাডিনোভাইরাসে শিশুটি আক্রান্ত ছিল বলে সন্দেহ করা হয়েছিল।
করোনা পরবর্তী সময়ে নতুন আতঙ্ক ছড়িয়েছে অ্যাডিনোভাইরাস। কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় বাড়ছে। ভাইরাস মোকাবিলায় তৎপর হয়েছে রাজ্য। এ নিয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। শিশুরা অসুস্থ থাকলে তাদের স্কুলে না পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ৩-৫ দিন জ্বর থাকলে এবং শ্বাসপ্রশ্বাসে অস্বস্তি ভাব বজায় থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে মাস্ক ব্যবহারে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। শিশু বিশেষজ্ঞ প্রভাস প্রসূন গিরি জানিয়েছেন, জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে দেরি না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রবীণদের শ্বাসনালির উপরিভাগ বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। তাঁরা জ্বর এবং দীর্ঘ দিন ধরে কাশিতে ভুগছেন। গত জানুয়ারিতে ৫০০টি নমুনা নাইসেডে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। সেগুলির মধ্যে ৩২ শতাংশের ক্ষেত্রে অ্যাডিনোভাইরাস, ১২ শতাংশের ক্ষেত্রে রাইনো ও ১৩ শতাংশের ক্ষেত্রে মিলেছে প্যারা-ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy