স্ক্রুটিনিতে কারচুপি করে বিএডে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বারাসত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেই বিএ়ড কেলেঙ্কারির পিছনে কাদের হাত আছে, তা জানতে শুক্রবার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামককে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিআইডি।
এ দিন ভবানী ভবনে ওই পরীক্ষা নিয়ামকের সঙ্গে দু’ঘণ্টা ধরে কথা বলেন তদন্তকারীরা। গোয়েন্দাদের দাবি, বিএ়ড পরীক্ষা নিয়ে ওই চক্রের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের কারও কারও যে সক্রিয় সহযোগিতা রয়েছে, পরীক্ষা নিয়ামকের কথায় তা স্পষ্ট। ওই চক্রের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকের জড়িত থাকার প্রমাণ মিললেও তাঁরা আরও তথ্য-প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করছেন তদন্তকারীরা।
সিআইডি সূত্রের খবর, বিএড পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের সঙ্গে চক্রের লোকেরা প্রথমে যোগাযোগ করে তাঁদের স্কুটিনির জন্য আবেদন করত বলত। আবেদন করার কিছু দিনের মধ্যেই অকৃতকার্যদের আগের মার্কশিট নিয়ে নতুন করে মার্কশিট দিত চক্রের লোকজন। সপ্তাহখানেক আগেই বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ ওই জাল মার্কশিট চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে সাসপেন্ড করেছেন। এ দিন বারে বারে চেষ্টা করেও পরীক্ষা নিয়ামকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর দু’টি মোবাইলই বন্ধ ছিল।
সিআইডি জানায়, বিএডে অকৃতকার্যদের বেআইনি ভাবে পাশ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে মাস ছয়েক আগে দত্তপুকুর থানায় অভিযোগ করেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসব চৌধুরী। পরে তার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডি-র হাতে।