প্রাক্তন সিপিএম ও অধুনা বিজেপি নেতা লক্ষ্মণ শেঠ
নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনের সময়ে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির দুই সমর্থকের নিখোঁজ হওয়ার ১১ বছর পরে ঘটনার তদন্তভার হাতে নিল সিআইডি। নিখোঁজ দুর্গাপদ মাইতি ও সুব্রত সামন্তের পরিবারের তরফে নতুন করে অপহরণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে গত মার্চ মাসে। সেই এফআইআরে নাম রয়েছে প্রাক্তন সিপিএম ও অধুনা বিজেপি নেতা লক্ষ্মণ শেঠ-সহ ১৫ জনের। যার মধ্যে আছেন হিমাংশু দাস, বিজন রায়, প্রজাপতি দাস, অশোক গুড়িয়া, প্রণব দাসের মতো পূর্ব মেদিনীপুরের এক ঝাঁক সিপিএম নেতা। অভিযুক্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের সিপিএম নেতা তপন ঘোষ, সুকুর আলিরাও।
সিআইডি-র আইজি (২) অশোক প্রসাদ বৃহস্পতিবার জানান, নন্দীগ্রাম থানায় গত ২ মার্চ এফআইআর দায়ের হয় দুর্গাপদ ও সুব্রতকে অপহরণ এবং খুনের অভিযোগে। তার ভিত্তিতে তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের জালপাই এলাকায় গিয়ে নিখোঁজদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে কিছু কাগজপত্রও সংগ্রহ করেছে সিআইডি। অভিযুক্ত নেতারা জানাচ্ছেন, তাঁরা এখনও সিআইডি-র কাছ থেকে নোটিস পাননি। তবে তাঁদের প্রশ্ন, ২০০৭ সালের ঘটনায় তখন অভিযোগ হল না। ১১ বছর পরে মামলা কি রাজনৈতিক প্রতিহিংসায়? সিআইডি কর্তাদের বক্তব্য, এফআইআরের পরে তাঁদের তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের নেতা এবং রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ব্যাখ্যা, ‘‘তখন ডায়েরি হয়। কিন্তু বাম জমানায় পুলিশ তদন্ত না করে চেপে দেয়। কয়েক মাস আগে দুর্গাপদবাবুর স্ত্রী হলদিয়া আদালতে লিখিত অভিযোগ জানান। তার পরে নয়া এফআইআর দায়ের হয়।’’ সুব্রতের স্ত্রী শ্রীমতি জানান, গোয়েন্দারা এসে আদালতের কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছেন।
প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণবাবু বলছেন, ‘‘নয়া অভিযোগ নিয়ে কিছুই জানি না। কারা অভিযোগ করেছে, কেন করেছে, বলতে পারব না।’’ সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য হিমাংশুবাবু বলেন, ‘‘আরও একটা মিথ্যা মামলা! ২০০৭ সালে কেউ অভিযোগ করেনি। এখন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সিআইডি-কে কাজে লাগানো হচ্ছে।’’ নিখোঁজ মামলার কিনারা না হলেও দু’জনের পরিবারকেই পরবর্তী কালে সহায়তা দিয়েছে তৃণমূল। সিপিএম নেতাদের অভিযোগ, দুই পরিবারকে কাজে লাগিয়ে লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীদের ফের ‘ফাঁসানো’ হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy