মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) ১৫ শতাংশ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নজরুল মঞ্চের সরকারি কর্মীদের সভায় বৃহস্পতিবার এই কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি, ২০১৯ সালের মধ্যেই মিটিয়ে দেওয়া হবে সমস্ত বকেয়া ডিএ। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত সরকারি কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন:
না জানিয়েই পূর্ণেন্দুর পদ বদলাল
দীর্ঘদিন ধরেই বকেয়া ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাধছিল। সেই ক্ষতে এ দিন প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, বকেয়া ডিএ মিলবে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে। ২০১৯ সালের মধ্যে বাকি বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘আমাকে ইউনিয়নের দোহাই দিয়ে লাভ নেই। আমি সবটাই করব।’’ বকেয়া ডিএ মেটাতে গিয়ে রাজ্য সরকারের আরও ৪ বাজার ৫০০ কোটি টাকা খরচ বাড়বে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বর্তমানে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের ডিএ-র ফারাক ৫৪ শতাংশ।এ দিনের ঘোষণার পর তা কমে দাঁড়াবে ৩৯ শতাংশ। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘সরকারের সঙ্গে থাকুন, সরকার আপনার সঙ্গে থাকবেন।’’
অভিযোগ ছিল, বকেয়া মেটাতে লিখিত আবেদন করা সত্ত্বেও সরকার তাতে কর্ণপাত করেননি। কর্মী সংগঠনের মামলায় রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (স্যাট) জানিয়ে দেয়, ডিএ দেওয়ার বিষয়টি রাজ্যের ইচ্ছার উপরে নির্ভরশীল। স্যাটের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি মামলাও হয় হাইকোর্টে। আদালতে রাজ্য সরকারি কর্মীরা দাবি করেন, ডিএ সরকারি কর্মীদের অধিকার। এই অধিকার থেকে রাজ্য সরকার তাঁদের বঞ্চিত করছেন। রাজ্য সরকারে তরফ থেকে জানানো হয়, তিন লক্ষ ৩৩ হাজার কোটিরও বেশি টাকার দেনা আছে রাজ্যের। রাজস্বের দেড় গুণ খরচ হয়ে যায় কর্মীদের বেতন ও পেনশন দিতে এবং ঋণের সুদ মেটাতে। সব সামলেই নিয়মিত বকেয়া ডিএ মেটানোর চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy