মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তোলাবাজি বরদাস্ত করবেন না, সেই নির্দেশ ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে প্রশাসনের অন্দরে। দলনেত্রীর ওই বার্তা পেয়েছেন তৃণমূলের নিচু তলার কর্মীরাও। এ বার নবান্নের নির্দেশে রাজ্য জুড়ে সমাজবিরোধীদের ধরপাকড় এবং অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধারে জোর দিল পুলিশ।
মমতার নির্দেশেই যে পুলিশ বিধাননগর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে, তা জেনে গিয়েছেন রাজ্যের মানুষ। শুধু কাউন্সিলর নয়, সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত রাজারহাটের আরও ৪৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নির্মাণকারী সংস্থার কাছে জোর করে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) অনুজ শর্মা সোমবার নবান্নে বলেন, ‘‘রবিবার সব থানা এলাকায় একযোগে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এমন অভিযান নিয়মিত চলবে।’’
এডিজি-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রবিবারের তল্লাশিতে ১০২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে ৭৯৭২ জনকে। গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল, এমন দেড়শো জনও ধরা পড়েছে। সব মিলিয়ে ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ২০১টি কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বোমা মিলেছে ৭৮১টি। এ ছাড়াও ১১৪ কিলোগ্রাম গাঁজা এবং ২০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ির কাগজপত্র ও হেলমেট না-থাকা কিংবা সিগন্যাল না-মানার অভিযোগে মোটর ভেহিক্লস আইনে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ১০ হাজার ৯০০ জনকে। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘‘এ-সবই লোকদেখানো। তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত জনপ্রতিনিধিরা কী ভাবে টাকা করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই তা জানেন। তাঁরা ঘড়ি পরেন ২৫ লক্ষ টাকার! ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy