প্রতীকী ছবি।
আশাকর্মীর চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের নওদার মধুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের সেলিম রেজা সরদারের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে একটি কথোপকথনের অডিয়ো-ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে (যদিও ওই অডিয়ো-ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার)। প্রধানের অবশ্য দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের চেয়ারম্যান সাংসদ আবু তাহের যদিও জানিয়েছেন, তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে, তিনি যেই হোন না কেন, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই অডিয়োয় সেলিম রেজার কণ্ঠ শোনা গিয়েছে বলেই দাবি তৃণমূলেরই একাংশের। প্রধানকে বলতে শোনা যায়, ব্লকে আশা কর্মী নিয়োগ চলছে। চাকরি পেতে চার লক্ষ টাকা লাগবে বলে দাবি করা হয়। ব্লকের ১৪টি আসনের মধ্যে ইতিমধ্যে ১২ জনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে ও তাঁরা টাকা দিয়েছেন বলেও বলতে শোনা যায়। চাকরি না হলে পুরো টাকা ফেরতের নিশ্চয়তা দিতে শোনা যায় তাঁকে। সূত্রের খবর দলেরই কর্মীদের একাংশ ওই অডিয়ো-ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেছে।
ওই অডিয়ো-ভিডিয়োটিতে স্থানীয় বিধায়ক সাহিনা মমতাজ খান ও পঞ্চায়েত সমিতিরসভাপতি মতিউর রহমানের নাম নিতে শোনা যায় সেলিম রেজাকে। মতিউর বলেন, ‘‘স্বচ্ছতার সঙ্গে রাজনীতি করি এটা সকলেই জানেন। ওই কথোপকথনের সত্যতা কতটুকু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমার নাম করে কেউ তোলাবাজি করছে কি-না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি দলকে জানাব। পুলিশের কাছেও অভিযোগ দায়ের করব।’’ বিধায়ক সাহিনা মমতাজ খান বলেন, ‘‘কোনও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই, দুর্নীতিকে প্রশয়ও দেব না। কেউ যদি আমার নাম ভাঁড়িয়ে কিছু করে তার জন্য প্রশাসনকে জানাব।দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেও বিষয়টি জানাব। এই ধরনের অভিযোগ বরদাস্ত করা হবে না।’’
যদিও অভিযুক্ত প্রধান সেলিম রেজা সরদার বলেন, ‘‘ওই কথোপকথন আমার নয়। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। সবই আমাকে ফাঁসানোর চক্রান্ত।’’ দলের জেলা চেয়ারম্যান তথা মুর্শিদাবাদ লোকসভার সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, ‘‘নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গেই হচ্ছে। নিয়োগে জনপ্রতিনিধিদের কারও হাত নেই। কেউ যদি জনপ্রতিনিধিদের নামে টাকা তোলে তা হলে তার তদন্ত করে অভিযুক্ত যিনিই হোন না কেন, দল যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy