গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের প্রতিবাদে কংগ্রেসের বিক্ষোভ। কলকাতায় —নিজস্ব চিত্র।
ধোঁয়া-কাণ্ডের জেরে প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) হওয়া ১৪৩ জন সাংসদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে দেশ জুড়ে কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল ‘ইন্ডিয়া’ জোট। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘স্বৈরাচারী আচরণে’র বিরুদ্ধে দিল্লি ও বিহার ছাড়া কোথাওই যৌথ ভাবে ‘ইন্ডিয়া’ শরিকদের তেমন প্রতিবাদ দেখা গেল না। এই রাজ্যে আলাদা ভাবে পথে নামল কংগ্রেস ও বামেরা। তৃণমূল কংগ্রেসেরও আলাদা প্রতিবাদ ছিল দলের মহিলা মোর্চার ডাকে।
মোদী সরকার গণতন্ত্রকে ‘হত্যা’ করছে, এই অভিযোগে এবং বিরোধী সাংসদদের সাসপেনশনের প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার ধর্মতলা থেকে মিছিল ছিল কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের ডাকে। জেলায় জেলায় বামেদের প্রতিবাদও ছিল। প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে অবশ্য তেমন কোনও কর্মসূচি ছিল না। বিরোধীদের কণ্ঠরোধের অভিযোগে দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল যদুবাবুর বাজার মোড়ে। সেখানে দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতি প্রদীপ প্রসাদের পাশাপাশি শামিল হয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের তপন আগরওয়াল, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, স্বপন রায়চৌধুরীরা। আবার মধ্য কলকাতা জেলা কংগ্রেস সভাপতি সুমন পালের নেতৃত্বে রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেন দলের কর্মী-সমর্থকেরা। পোড়ানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুলও। বীরভূমের সাঁইথিয়ায় তৃণমূলের বিক্ষোভ মিছিলে ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, সাংসদ শতাব্দী রায় প্রমুখ।
একই ছবি দেখা গিয়েছে ত্রিপুরাতেও। আগরতলায় এ দিন কংগ্রেসের মিছিলে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিস কুমার সাহা, বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায়-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। তার আগে সিপিএমের পশ্চিম জেলা দফতরের সামনে থেকে বামফ্রন্টের প্রতিবাদ মিছিল ওরিয়েন্ট চৌমহনীতে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সভায় ছিলেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার, রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রমা দাস প্রমুখ। ত্রিপুরা সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাঁদের রাজ্য কমিটির পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক থাকায় কংগ্রেসের সঙ্গে একই সময়ে যৌথ প্রতিবাদ করা যায়নি। ভবিষ্যতে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের যৌথ কর্মসূচি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy