Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Congress

প্রচারের খরচ সামলাতে ফেসবুকে আর্জি কংগ্রেসের

সিপিএম দীর্ঘদিন ধরেই সংগঠন চালাতে সাধারণ মানুষের থেকে অর্থ সাহায্য নেয়। যা ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ নামে পরিচিত। এ বারে সেই পথে পা বাড়াল প্রদেশ কংগ্রেসও।

inc.

—প্রতীকী ছবি।

নুরুল আবসার
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৩ ০৭:৪৪
Share: Save:

একে লোকবল কম। সর্বত্র পঞ্চায়েতে প্রার্থীও দিতে পারেনি কংগ্রেস। যে ক’জন প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের প্রচারের খরচ নিয়েও অনেক ক্ষেত্রেই স্থানীয় নেতৃত্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ। পরিস্থিতি সামলাতে তাই কিছুটা সিপিএমের কায়দায় জনগণের দ্বারস্থ হল প্রদেশ কংগ্রেস। সামাজ মাধ্যমে সরাসরি সাধারণ মানুষের কাছে সহায়তার আবেদন জানিয়েছে তারা। চাওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এই সাহায্যে দাতার কর ছাড়ও মিলবে বলে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে।

সিপিএম দীর্ঘদিন ধরেই সংগঠন চালাতে সাধারণ মানুষের থেকে অর্থ সাহায্য নেয়। যা ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ নামে পরিচিত। এ বারে সেই পথে পা বাড়াল প্রদেশ কংগ্রেসও। অবশ্য শুধু সাধারণ মানুষই নয়, এআইসিসি সদস্যদের থেকে অন্তত পাঁচ হাজার টাকা করেও ‘অনুদান’ চাওয়া হচ্ছে।

হাওড়ার আমতার প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অসিত মিত্র বলেন, ‘‘কংগ্রেস জনসাধারণের দল। তাই নির্বাচনের খরচ তোলার জন্য জনসাধারণের কাছেই আবেদন করা হয়েছে।’’ দলের আর এক নেতা জানান, সামাজ মাধ্যমে সাহায্য চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছে, তাতে সাড়া মিললে সেই টাকা সব জেলায় ভাগ করে দেওয়া হবে।

অর্থাভাবে প্রচারে যে জোর দেওয়া যাচ্ছে না, এ কথা মানছেন অনেক কংগ্রেস নেতা-ই। হাওড়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি পলাশ ভান্ডারী বলেন, ‘‘আমাদের দল কোনও বারই পঞ্চায়েত নির্বাচনের খরচ দেয় না। স্থানীয় ভাবে চাঁদা তুলে বা প্রার্থীরাই নিজেদের উদ্যোগে খরচ করে নির্বাচনে লড়েন। কিন্তু এ বার পরিস্থিতি কিছুটা আলাদা। দলের একজনও বিধায়ক নেই। ক্ষমতায় না থাকায় বড় ব্যবসায়ীরা চাঁদাও দিতে রাজি হন না। প্রার্থীরাই বা নিজেরা আর কত খরচ করবেন!’’ হাওড়া জেলায় কংগ্রেস তিনশো মতো গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী দিতে পেরেছে। জেলা পরিষদে প্রার্থী দিয়েছে ২৭টি আসনে। দেওয়াল লিখন থেকে শুরু করে ফ্লেক্স, হ্যান্ডবিল, ফেস্টুন, পতাকা তৈরি— সবই মূলত প্রার্থীদের নিজেদের খরচেই করতে হচ্ছে। শ্যামপুরের এক কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘আমি নিজে যেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি, তেমনই দলের অনেক প্রার্থীরও দায়িত্ব নিয়েছি। আমার ইতিমধ্যে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। আর পারছি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Congress Social Media
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE