Advertisement
E-Paper

পুলিশি ‘হেনস্থা’ রুখতে রাজ্যপালের কাছে কংগ্রেস

সন্ময়বাবুকে মানহানির জন্য আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৫৬
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের দ্বারস্থ হয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। —নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের দ্বারস্থ হয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। —নিজস্ব চিত্র।

পুরুলিয়া আদালত থেকে তিনি শর্তাধীন জামিন পেয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেসের মুখপাত্র সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যের অন্যত্র মামলা রুজু করে এগোতে চাইছে পুলিশ। এমতাবস্থায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের দ্বারস্থ হয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতিও চলছে। আর সন্ময়বাবুর চিকিৎসা ও বিশ্রামের জন্য তাঁকে নিয়ে দাদা তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় আপাতত কলকাতার বাইরে।

সন্ময়বাবুকে মানহানির জন্য আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সন্ময়বাবু তার জবাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, শুভেন্দুর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় বিধায়ক কার্যালয়ের এক কর্মী নয়ন সামন্ত থানায় অভিযোগ করেন, সামাজিক মাধ্যমে ‘ভিত্তিহীন’ ভিডিয়ো আপলোড করে সন্ময়বাবু মন্ত্রীর সম্মানহানি করেছেন। নন্দীগ্রাম থানায় ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সন্ময়বাবুর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করে হলদিয়া মহকুমা আদালতে তাঁকে গ্রেফতারের আবেদন করে পুলিশ। তবে হলদিয়া মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী ভি কে রাম জানিয়েছেন, আদালত শনিবার ওই গ্রেফতারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

মন্ত্রী শুভেন্দু বলেছিলেন, আইনি নোটিস ও জবাবি চিঠির পরে এই বিষয়ে তাঁর আর কিছু বলার নেই। তাঁর সাংসদ-পিতা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী অবশ্য বলেছেন, ‘‘যে ভাবে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে অবমাননা করা হয়েছে, তাতে শুধু নন্দীগ্রাম কেন, রাজ্যের সব থানাতেই এমন অভিযোগ হবে। আর এ নিয়ে পাল্টা কিছু বলার থাকলে আদালতে যাওয়াই ভাল।’’ মুখ্য সরকারি সচেতক ও পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ রবিবার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, প্রয়োজনে আবার সন্ময়বাবুকে ‘ওষুধ’ দেওয়া হবে। এ সবের প্রেক্ষিতেই আতঙ্কে আছে সন্ময়বাবুর পরিবার। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী অবশ্য জানিয়েছেন, দল সন্ময়বাবুর পরিবারের পাশে আছে। আইনি লড়াইয়ের দিকটাও দেখছে।

ফরাক্কার একটি কলেজের উদ্বোধনের জন্য রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানাতে এ দিন রাজভবনে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, কংগ্রেসের দুই সাংসদ আবু হাসেম (ডালু) খান চৌধুরী ও ফরাক্কার বিধায়ক মইনুল হক। পরে রাজ্যপালের সঙ্গে সন্ময়-কাণ্ড নিয়ে তাঁদের কথা হয়। মান্নানের বক্তব্য, ‘‘পুরুলিয়ার পরে এ বার নন্দীগ্রাম, কখনও কোচবিহার বা সুন্দরবনে মামলা করে সন্ময়কে হেনস্থার পরিকল্পনা হচ্ছে। মানহানির মামলা কেউ করতেই পারেন। কিন্তু গণতন্ত্রে সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললে পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করা হবে কেন?’’ সাত বছর আগে অম্বিকেশ মহাপাত্রের গ্রেফতারের ঘটনাও রাজ্যপালকে স্মরণ করিয়ে দেন মান্নান, প্রদীপবাবুরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সন্ময়বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগের ধরন জানতে এফআইআরের প্রতিলিপি চেয়েছেন রাজ্যপাল।

Congress Jagdeep Dhankhar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy