Advertisement
২২ মার্চ ২০২৩
State News

এনআরএস নিয়ে মোদীর হস্তক্ষেপ চাইলেন অধীর

কংগ্রেস সাংসদের দাবি, এনআরএস-এ জুনিয়র চিকিৎসক নিগ্রহের প্রতিবাদে সরকারি, বেসরকারি-সহ বিভিন্ন হাসপাতালের বহির্বিভাগে কর্মবিরতির জেরে রাজ্যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৯ ০১:৪৮
Share: Save:

এনআরএস-কাণ্ডের পর জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখে বাংলা। এমন দাবি করে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপের আবেদন করলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।

Advertisement

কংগ্রেস সাংসদের দাবি, এনআরএস-এ জুনিয়র চিকিৎসক নিগ্রহের প্রতিবাদে সরকারি, বেসরকারি-সহ বিভিন্ন হাসপাতালের বহির্বিভাগে কর্মবিরতির জেরে রাজ্যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর জেরে রোগীদের দুর্দশার মুখে পড়তে হচ্ছে। কার্যত অরাজকতা চলছে এ রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর হস্থক্ষেপের আর্জি জানিয়ে মঙ্গলবার তাঁকে চিঠি দিয়েছেন অধীরবাবু।

ওই চিঠিতে অধীরবাবু লিখেছেন, ‘এনআরএস-এ জুনিয়র চিকিৎসকের উপরে নৃশংস ভাবে নিগ্রহের প্রতিবাদে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এতে রোগীরা দুর্দশায় পড়েছেন। নিগৃহীত জুনিয়র চিকিৎসকেরা জীবনের সঙ্গে লড়ছেন। এখন এ রাজ্যে কার্যত অরাজকতার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যত দ্রুত সম্ভব, আপনার হস্তক্ষেপের আবেদন করছি।’

আরও পড়ুন: আগামিকাল রাজ্যের সমস্ত সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে আউটডোর বন্ধের ডাক

Advertisement

আরও পড়ুন: করোটি তুবড়ে ঢুকে গিয়েছে ভিতরে, আপাতত বিপন্মুক্ত এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ​

প্রধানমন্ত্রীকে লেখা অধীর চৌধুরীর চিঠি।

সোমবার রাতে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (এনআরএস)-এ রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তজনা ছড়ায়। নিগ্রহের শিকার হন হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই ওই রোগীর আত্মীয়রা তাঁদের বেধড়ক মারধর করেন। এর আগেও বহু বার এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও তা নিয়ে কোনও সুরাহা হয়নি। ওই ঘটনার প্রতিবাদে এনআরএস-সহ রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বহির্বিভাগের কর্মবিরতির ডাক দেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে চিকিৎসকদের সাতটি সংগঠনের মিলিত ফোরাম, ডক্টরস ফোরাম। বুধবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা বহির্বিভাগ বন্ধ রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে জরুরি পরিষেবা চালু রাখার চেষ্টা করা হবে বলে জানানো হয়েছে ওই সংগঠনের তরফে। এই আবহে বুধবার সকাল থেকেই রাজ্যে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.