Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
NRS

আগামিকাল রাজ্যের সমস্ত সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে আউটডোর বন্ধের ডাক

নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের মারধরের ঘটনায় সিনিয়ররা এ ভাবেই প্রতিবাদের রাস্তায় হাঁটলেন।

নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ

নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৯ ১৮:৩৯
Share: Save:

জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে এ বার দাঁড়ালেন সিনিয়ররা। আগামিকাল বুধবার রাজ্যের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে বহির্বিভাগ বন্ধ রাখার ডাক দিল চিকিৎসকদের সংগঠন ডকটর্‌স ফোরাম।

এনআরএস-কাণ্ডের জেরে ফের ভোগান্তিতে পড়তে চলেছেন এ রাজ্যের মানুষ। বুধবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা বহির্বিভাগ বন্ধ রাখা হলেও জরুরি পরিষেবা চালু রাখার চেষ্টা করা হবে বলে জানানো হয়েছে ওই সংগঠনের তরফে।নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের মারধরের ঘটনায় সিনিয়ররা এ ভাবেই প্রতিবাদের রাস্তায় হাঁটলেন। এই প্রতিবদ কর্মসূচিতে সমস্ত চিকিৎসকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে ডক্টর্‌স ফোরামের তরফে।

সোমবার রাতে এনআরএস হাসপাতালে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তজনা ছড়ায়। জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, রোগীর আত্মীয়রা তাঁদের বেধড়ক মারধর করে পুলিশের সামনেই। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু যারা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। প্রশাসনের শীর্ষ স্তর থেকে কোনও আশ্বাস না মিললে, এই আন্দোলন চলবে।

আরও পড়ুন: আগামিকাল রাজ্যের সমস্ত সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে আউটডোর বন্ধের ডাক​

জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করে ৭টি চিকিৎসক সংগঠনের মিলিতফোরাম— ডক্টর্‌স ফোরাম। ফলে বুধবার রাজ্যজুড়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা কার্যত বিপর্যস্ত হতে চলেছে। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘জুনিয়র ডাক্তাররা ন্যায্য দাবিতেই আন্দোলন করছেন। তাতে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। সে কারণেই আউটডোর বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে।’’

এ দিন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এনআরএস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর, জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে থাকার বার্তা দেন। কিন্তু তার পরেও এনআরএস হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন হবু চিকিৎসকেরা। তাঁদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে কলকাতার সব মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল থেকে জুনিয়র ডাক্তাররাও সেখানে হাজির হয়েছেন।

এনআরএস থেকে আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, আরজিকর, এসএসকেএম হাসপাতালেও। এ দিন ওই হাসপাতালগুলিতেও আউটডোর পরিষেবা বন্ধ ছিল। এই আঁচ ছড়িয়েছে জেলার মেডিক্যাল কলেজেও। সেখানকার জুনিয়র চিকিৎসকেরাও আউটডোর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘১৪ মাসের ছেলেটাকে রক্ত দিতে দিল না ওরা’, এনআরএস চত্বরে আক্ষেপ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত জিশানের মায়ের​

জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি সিনিয়র ডাক্তাররাও আটডোর পরিষাবে বন্ধের ডাক দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলিতে এসে সমস্যায় পড়েছেন রোগীর পরিবারেরা। তাঁরা হেনস্থার মুখেও পড়েছেন। এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত বন্ধই হয়ে গিয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি জেলার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও যদি আউটডোর বন্ধ থাকে সমস্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE