E-Paper

আদিবাসীর পাশে থাকতে ‘গৌরব পরব’ কংগ্রেসের

আদিবাসী ও অনগ্রসর অংশের মানুষের পাশে থেকে সংহতির বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি ওই অংশের মানুষের প্রতি বিজেপির ‘অমানবিক’ আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মসূচি নেওয়ার জন্য প্রতি রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছে এআইসিসি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৩ ১৪:৩৪

—প্রতীকী চিত্র।

প্রতি বছর দিনটি তারা পালন করে ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের বর্ষপূর্তি হিসেবে। লোকসভা নির্বাচনের আগের বছরে সেই ৯ অগস্টই এ বার ‘আদিবাসী গৌরব পরব’ পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। আদিবাসী ও অনগ্রসর অংশের মানুষের পাশে থেকে সংহতির বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি ওই অংশের মানুষের প্রতি বিজেপির ‘অমানবিক’ আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মসূচি নেওয়ার জন্য প্রতি রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছে এআইসিসি। মণিপুরের জাতিগত সংঘর্ষ এবং নারী নির্যাতনের একাধিক ঘটনা প্রকাশ্যে আসার প্রেক্ষিতেই কংগ্রেস আদিবাসীদের পাশে থাকার এমন কর্মসূচি নিয়েছে বলে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের ধারণা। তবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বার্তা পেলেও বাংলায় রাজ্য বা জেলা স্তরে কত দূর ওই ধরনের কর্মসূচি নেওয়া যাবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে কংগ্রেসের অন্দরেই।

রাহুল গান্ধীর বহুত্ববাদের আদর্শের কথা উল্লেখ করে এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের নেতৃত্বে দেশ জুড়ে ‘আদিবাসী গৌরব পরব’ পালনের কথা জানিয়েছেন এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপাল। রাজ্যে রাজ্যে পাঠানো তাঁর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৯ তারিখ প্রদেশ স্তরে ‘আদিবাসী গৌরব মহাসভা’র আয়োজন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যে আদিবাসী মানুষের জন্য ঐতিহাসিক বা পরম্পরাগত ভাবে উল্লেখযোগ্য কোনও স্থানে ওই মহাসভা থেকে অনগ্রসর অংশের জন্য কংগ্রেসের ধারাবাহিক কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরার সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপির ‘অমানবিক অত্যাচারে’র প্রতিবাদ জানানো হবে। সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশে আদিবাসী যুবকের গায়ে প্রস্রাব বা মণিপুরে কুকি-মৈতিদের জাতিগত সংঘর্ষ এবং নারী নির্যাতনের ঘটনা এ ক্ষেত্রে হাতিয়ার হবে। মণিপুরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ‘ব্যর্থ’ হওয়ায় সে রাজ্যের বিজেপি সরকারকে বরখাস্ত করে রাষ্ট্রপতি শাসক জারি এবং সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি জারির দাবিতে শুক্রবারই বৌবাজারের ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া মোড়ে গণ-স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে মধ্য কলকাতা জেলা কংগ্রেসের উদ্যোগে।

আদিবাসী বিশিষ্ট জনেদের নিয়ে আলোচনা-সভারও পরিকল্পনা রয়েছে ৯ তারিখ। রাজ্য স্তরে এই কর্মসূচি ছাড়াও আদিবাসী অধ্যুষিত বিধানসভা এলাকাগুলিতে জনজাতি অংশের মানুষের সম্মাননা অনুষ্ঠান, ‘সংরক্ষণ প্রতিজ্ঞা’, কমিউনিটি নৈশভোজ, মশাল যাত্রা এবং আদিবাসী ঘরে দলের নেতা-কর্মীদের রাত্রিবাসের মতো একাধিক কর্মসূচি নিতে বলেছে এআইসিসি।

প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতার বক্তব্য, ‘‘এআইসিসি-র নির্দেশের কথা সব জেলা নেতৃত্বকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা স্তরে দলের নেতৃত্ব যেমন পারবেন, কর্মসূচি নেবেন।’’ জেলায় জেলায় কংগ্রেসের সংগঠনের যা হাল, এই বিশদ পরিকল্পনার কত দূর বাস্তবে রূপায়ণ করা যাবে, সেই প্রশ্ন আছে দলের ভিতরেই।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

adivasi Congress

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy