শিল্পপতিদের নিয়ে মাস কয়েক আগে সুন্দরবন সফরে গিয়ে তাঁদের ঝড়খালি ঘুরিয়ে এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি আসছেন শুনে, বনকর্তারা চিড়িয়াখানা থেকে তড়িঘড়ি বাদাবনের একটি বাঘকে তাঁর সাধের ওই ‘ম্যানগ্রোভ কনজারভেশন পার্কে’ এনে রেখেছিলেন। নিঃসঙ্গ সেই বাঘের খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে দু-ছত্র ছড়াও বেঁধে ফেলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধনের পরে, ঝড়খালির নির্মীয়মাণ সেই পার্ক থেকে ফিরে যাওয়ার আগে সফর সঙ্গী বণিক সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী—‘‘পার্কটা খুব শীঘ্রই তৈরি হয়ে যাবে, তখন সবাই বেড়াতে আসবেন।’’
তাঁর সাধের সেই পর্যটন প্রকল্পই গতি হারিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বারুইপুরের টংতলায় প্রশাসনিক বৈঠকে সে প্রসঙ্গ উঠতেই মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, ‘‘ঝড়খালির কাজ কত দূর এগোল?’’ ঠিকাদারের গাফিলতিতেই প্রকল্প গতি হারিয়েছে বলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান। শুনেই কপালে ভাঁজ পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর। রেগে গিয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘দরকার হলে ওই ঠিকাদারকে বাতিল করে দিন।’’ জেলা কর্তারা তাঁকে আশ্বস্ত করেন, দ্রুত এ ব্যপারে ব্যবস্থা নিয়ে তাঁকে জানানো হবে।
প্রশাসনিক বৈঠকের আগে এ দিন বারুইপুর এলাকার টংতলায় একটি প্রেক্ষাগৃহ উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম দেন ‘কর্মশ্রী’। জানান, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রশাসনিক বৈঠক করার জায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না। এ বার থেকে বারুইপুরে এই প্রশাসনিক ভবনেই বৈঠক হবে। বলছেন, ‘‘এই জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে আগে সাগরিকায় (ডায়মন্ড হারবারে সরকারি পর্যটন আবাস) যেতে হত। তাই কেএমডিএ-কে কাছাকাছি একটা জায়গা বাছতে বলেছিলাম। ওরা সে কাজটা করেছে। এ বার থেকে এই কর্মশ্রীতেই বৈঠক হবে।’’
এ দিনের বৈঠকে জেলার পানীয় জল থেকে বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদের কাছে বিস্তারিত জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। কুলতলি, পাথরপ্রতিমা এলাকায় বিদ্যুতের ভোল্টেজ জনিত সমস্যা রয়েছে। বহু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ চেয়ে আবেদন করেও তা পাচ্ছেন না বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের ধমক দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘অনেকেই আবেদন করে লাইন পাচ্ছেন না। অথচ বিদ্যুৎ চুরির জন্য গুলি চলবে (মগরাহাটে হুকিং রুখতে গিয়ে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ), তা হয় নাকি, ব্যবস্থা নিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy