ডব্লিউবিসিএস-এর পরীক্ষার্থী —ফাইল ছবি
অভিযোগ ছিল, ২০১৭ সালের ডব্লিউবিসিএস মেনের পরীক্ষায় বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর নম্বর ‘অন্যায় ভাবে’ বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও চলছে। তারই মধ্যে বৃহস্পতিবার ডব্লিউবিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, সেই প্রশান্ত বর্মণ প্রথম হয়েছেন।
ডব্লিউবিসিএস মেনের লিখিত পরীক্ষায় প্রশান্তবাবুর ইংরেজির প্রাপ্ত নম্বর শূন্য থেকে বাড়িয়ে ১৬২ এবং বাংলার প্রাপ্ত নম্বর ১৮ থেকে ১৬৮ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। পরীক্ষার আয়োজক পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)-এর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা হয়। অন্য দিকে, প্রতিবাদে নামে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই এবং ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষার্থীদের একাংশ। এ দিন চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পরে ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি সায়নদীপ মিত্র বলেন, ‘‘আমাদের অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হল। আমরা এখনই রাস্তায় নেমে আন্দোলন করব।’’ জনস্বার্থ মামলায় আবেদনকারীর আইনজীবী গৌরব বসু বলেন, ‘‘আদালত পিএসসি-কে বলেছে, ওই বিতর্কিত পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র জমা দিতে। কিন্তু তারা এখনও তা জমা দেয়নি। ২৬ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি। তার আগেই পিএসসি ফল প্রকাশ করল।’’
এ দিন ডব্লিউবিসিএস-এর ফল বেরোনোর পর পিএসসি-র চেয়ারম্যান দীপঙ্কর দাশগুপ্তকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ একটা মিটিংয়ে আছি। সেক্রেটারিকে ফোন করুন। তিনি যা বলার, বলবেন।’’ পিএসসি-র সেক্রেটারি মুকুতা দত্তকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি। পিএসসি-র আইনজীবী প্রদীপকুমার রায় বলেন, ‘‘প্রথমত, মামলাটির ভিত্তি নেই। আদালত আমাদের কাছে যা নথি চেয়েছিল, তার অনেকটাই দেওয়া হয়েছে। বাকিটা আমাদের হাতে আছে। সময় মতো পেশ করব। যে হেতু, ইন্টারভিউ বা ফল প্রকাশের বিষয়ে আদালত কোনও নির্দেশ দেয়নি, তাই পিএসসি ফল প্রকাশ করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy